
ব্রাক্ষনবাড়িয়া।।
ঈদুল ফিতরে জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিপণী বিতান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারি নির্দেশনায় গত ২৫ মার্চ থেকেই জেলার সব বিপণী বিতান বন্ধ রয়েছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকির মধ্যেই আগামী ১০ মে থেকে সারাদেশের বিপণী বিতানগুলো খুলে দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। স্বাস্থ্য বিধি মেনে সীমিত পরিসরে দোকান খোলা রাখতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। মূলত পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে মানুষের কেনাকাটার সুবিধার্থে এই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিপণী বিতানগুলো স্বাস্থ্য বিধি মেনে খোলার ব্যপারে ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে বৈঠকে বসেন জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খাঁন। এতে জেলা শহরের বিপিণী বিতানগুলোর ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দদের ডাকা হয়। এ বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে সব বিপণী বিতান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর ফলে সিটি সেন্টার, এফ.এ টাওয়ার, পৌর আধুনিক সুপার মার্কেট, আশিক প্লাজা ও হকার্স মার্কেটসহ ছোট-বড় শপিং সেন্টারগুলো বন্ধ থাকবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কোর্ট রোডস্থ সিটি সেন্টারের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান আরিফ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিপণী বিতান খোলার বিষয়য়ে দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বৈঠক হয়েছে। এতে বিভিন্ন বিপণী বিতানের ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। সরকারিভাবে ১০ মে থেকে মার্কেট খোলা রাখার কথা বলা হলেও আমরা মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। জনস্বাস্থের কথা বিবেচনায় নিয়ে আমরা সব বিপণী বিতানের নেতৃবৃন্দরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাছাড়া এখন বিপণী বিতান খুললেও মানুষজন আসবে কী না সেটি নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। সবমিলিয়ে বিপণী বিতান খুললে আমাদের লোকসানই হবে।উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও প্রবাসীসহ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৫৮ জন। এদের মধ্যে দুইজন রোগী মারা গেছেন। আর সুস্থ্য হয়েছেন ২৫ জন। বাকিরা আইসোলেশনে রয়েছেন।