আমরা সময়ের কথা সময়ে বলি।

Advertisement

আখাউড়া এক ব্যবসায়ীর করোনামুক্ত হয়ে ও মৃত্যু

আখাউড়া 11 June 2020 ৪২৭

আখাউড়া।।

করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরবর্তী রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পর মারা গেলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া গ্রামের সেই ব্যবসায়ী তাপস সাহা।বুধবার রাতে সাড়ে ১২টায় নিজ বাড়িতে তিনি মারা যান। বৃহস্পতিবার সকালে সৎকারের জন্য তাঁর লাশ স্থানীয় শ্মশানে নেয়া হয়। এদিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ওই ব্যক্তির সৎকার করার জন্য আখাউড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে যারা সৎকারে অংশ নিবেন তাদেরকে পরবর্তীতে হোমকোয়ারেন্টিতে থাকতেও বলা হয়েছে।ঢাকায় হৃদরোগের চিকিৎসা করতে গিয়ে তাপস সাহার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় গত ২৪ মে। ৫ জুন তিনি নতুন করে আখাউড়া হাসপাতালে নমুনা দিলে পরবর্তীতে সেই রিপোর্টে করোনা নেগেটিভ আসে।তাপস সাহার পুত্র কৌশিক সাহা জানান, তার বাবা গত ১৭ মে মোগড়া বাজারে ৩৫০ জন দরিদ্র মানুষের মধ্যে ব্যক্তিগত অর্থে ত্রাণ বিতরণ করেন। ত্রাণ বিতরণের দুইদিন পর হঠাৎ হার্টের রোগে আক্রান্ত হলে ঢাকার ল্যাব এইড হাসপাতালে নিয়া যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসার পর শরীরে জ্বর আসলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করেন। ২৪ মে রিপোর্টে তার শরীরে করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয়। তিনি আরো জানান, করোনা শনাক্তের পর ল্যাব এইড হাসপাতালের আইসোলেশনে কয়েকদিন থাকার পর ডাক্তার ছাড়পত্র দিলে তার বাবাকে ২৮ মে আখাউড়ায় এনে হোম আইসোলেশনে রাখা হয়। ডাক্তারের পরামর্শে হোম আইসোলেশনে থাকায় তারা আখাউড়া হাসপাতাল কিংবা উপজেলা প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হয়নি। গত ৫ জুন শুক্রবার বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে অবগত করে নতুন করে করোনার নমুনা দেয়া হয়। পাশাপাশি অন্যদেরও নমুনা দেয়া হয়। আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা: শ্যামল চন্দ্র ভৌমিক জানান, তাপস সাহার করোনা শনাক্ত হয় ঢাকায়। পরবর্তীতে তিনি আর নমুনা দিতে আসেন। নমুনা নিয়ে ওনাকে হোম আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়। গত মঙ্গলবার আসা ফলাফলে তিনিসহ পরিবারের সবার নেগেটিভ আসে। আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার রেইনা জানান, ওই ব্যক্তির মারা যাওয়ার বিষয়টি তিনি জেনেছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সৎকার করার পাশাপাশি যারা অংশ নিবেন তাঁদেরকে হোমকোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।