
ব্রাক্ষনবাড়িয়া।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনা উপসর্গ নিয়ে ছেলের পর মা মারা গেছেন। গত ২২ মে ছেলে মারা যাওয়ার পর ১১ জুন মা মারা গেলেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই দুইজনের সৎকার সম্পন্ন হয়। ছেলের করোনা বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায় নি। তবে মায়ের নমুনা নেওয়া হয়েছে। ওই পরিবারের আরো চার সদস্য করোনায় আক্রান্ত।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন কর্মকার পাড়ার এক যুবক চট্টগ্রাম থাকতেন। তিনি করোনা উপসর্গ নিয়ে বাড়িতে চলে আসেন। তবে তিনি বিষয়টি কাউকে বলেননি। বাড়িতে আসার পর থেকেই তিনি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলতেন। এক পর্যায়ে অসুস্থ হলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর হৃদরোগে তিনি মারা যান বলে জানানো হয়। করোনা সন্দেহে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই তাঁর সৎকার সম্পন্ন করা হয়। এ অবস্থায় পরিবারের সদস্যদের নমুনা দেওয়া হলে ওই যুবকের বড় ভাইসহ চারজনের করোনা পজিটিভ আসে। তবে মায়ের ফলাফল আসেনি। অসুস্থ অবস্থায় বৃহস্পতিবার ঢাকায় নেওয়ার পর তিনি মারা যান। প্রশাসনকে জানানোর পর তাঁদের সহায়তায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে রাতেই শিমরাইল কান্দি শ্মশাণে ওই নারীর সৎকার করা হয়।
প্রতিবেশী মিঠু নামে এক ব্যবসায়ী জানান, চট্টগ্রাম থেকে আসা যুবকের করোনা বিষয়ে কেউ নিশ্চিত ছিলেন না। নমুনা দিয়েছেন কি না বা ফলাফল কি এসেছে সেটিও সে তাঁর পরিবারের কাউকে জানায়নি। এর মধ্যে উচ্চরক্তচাপ ও হৃদরোগ জনিত কারণে তিনি মারা যান। ২০ দিন পর এখন মারা গেছেন তাঁর মা। করোনা আক্রান্ত সন্দেহ থাকায় পরিবারের দুই একজন ছাড়া কেউ এগিয়ে আসতে চায়নি। প্রশাসনের লোকজনের সহায়তায় স্থানীয় আরো কয়েকজনকে নিয়ে লাশের সৎকার করা হয়।স্থানীয়ভাবে গঠন করা সৎকার কমিটির সদস্য প্রবীর চৌধুরী রিপন জানান, ওই দুইজন করোনা আক্রান্ত কি না এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। অ্যাসিল্যান্ডের উপস্থিতিতে সরকারি সহায়তায় সবাই মিলে ওই নারীর সৎকার সম্পন্ন করা হয়েছে।