
নবীনগর।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় একের পর এক খুনের ঘটনা ঘটেই চলছে। মারামারির ঘটনায় আহত জয়নালের মৃত্যুর মাত্র দুদিন পর আরেকটি মারামারির ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হানিফ মিয়া (৫০) মঙ্গলবার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন। একের পর এক এসব খুনের ঘটনায় উপজেলা প্রশাসনের ভাবমূর্তি দেশে ও বিদেশে দারুণভাবে ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ হচ্ছে বলে স্থানীয় পর্যবেক্ষকেরা মত প্রকাশ করেছেন। জানা গেছে, গত ৩ জুন বিলে মাছ ধরার ঘটনার জের ধরে উপজেলার শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের সাহেবনগর গ্রামে রিপন মিয়া ও নান্নু মিয়ার লোকজনের মধ্যে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে নান্নু মিয়ার পক্ষে পার্শ্ববর্তী রায়পুরা উপজেলা থেকে ভাড়া করা সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা অংশ নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গুলিতে রিপন মিয়ার পক্ষের হানিফ মিয়া (৫০) তখন গুলিবিদ্ধ হলে, তাকে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়। সেখানে দীর্ঘ ২৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার বিকেলে হানিফ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। এ খবর সাহেবনগর গ্রামে এসে পৌঁছালে, গ্রামে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দেয়। এদিকে এ ঘটনায় দুটি মামলা হলেও পুলিশ এ পর্যন্ত মারামারিতে ব্যবহার হওয়া অস্ত্র (মারামারির একটি ভিডিওতে যা দেখা গেছে) উদ্ধারসহ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এ বিষয়ে নবীনগর সার্কেলের দায়িত্বে থাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মকবুল হোসেন বলেন, ‘ঘটনার ২৭ দিন পর হানিফ মিয়া মারা যাওয়ায়, সেটি স্বাভাবিক না অস্বাভাবিক মৃত্যু, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কিছুই বলা যাবে না।’ তবে তিনি জানান, মারামারির ঘটনার পর অস্ত্র আইনে একটিসহ দুটি মামলা হয়েছে। পুলিশ মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকীদের গ্রেপ্তারেও পুলিশি অভিযান চলছে। উল্লেখ্য, উপজেলার লাউর ফতেপুরের লাউর গ্রামে গত ২৩ জুন আরেকটি মারামারির ঘটনায় সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত জয়নাল মিয়া (৩৫) গত রবিবার মারা যান। পুলিশ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত চিহ্নিত খুনিদেরও গত সাত দিনে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।