আমরা সময়ের কথা সময়ে বলি।

Advertisement

করোনার দুর্দিনেও স্বাস্থ্য সেবার উজ্বল দৃষ্টান্ত স্হাপন করলেন ব্রাক্ষনবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর 3 July 2020 ১১২১

ব্রাক্ষনবাড়িয়া।।

করোনার দুর্দিনেও স্বাস্থ্য সেবার উজ্বল দৃষ্টান্ত স্হাপন করলেন ব্রাক্ষনবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। মেডিকেল কলেজটি এই অঞ্চলের রোগিদের নির্ভর যোগ্য প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছে।রোগি ও তাদের স্বজনরা বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে কোথাও আস্হার জায়গা না পেয়ে আশ্রয় স্হল হিসেবে এই মেডিকেল কলেজ হাসপতালটি বেছে নিয়েছে। জানা গেছে,আফরোজা প্রসব ব্যাথা নিয়ে গত ৩০ জুন রাত থেকেই বাড়ী নরমাল সন্তান প্রসবের চেষ্টা করছিল কিন্তু তার পুর্বে অপারেশন হওয়া সত্বেও বাচ্ছা মৃত থাকায় বাড়ীতেই প্রসবের চেষ্টা করেন কিন্তুু সকাল তাহার অবস্হা আশংকা জনক হলে তাকে হবিগঞ্জের একটি প্রাইভেট হাসপাতাল ও সদর হাসপাতালে ভর্তি করতে ব্যার্থ হয়ে কোন উপায় অন্ত না দেখে নিরুপায় হয়ে মুমুর্ষ অবস্হায় ব্রাক্ষনবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন।এ রোগী দেখেই ডাক্তার রনজিত বিশ্বাস বলেন অতিরিক্ত ব্যাথা ও পুর্বের অপারেশন থাকার কারনে জরায়ু ছিরে গেছে এবং পেটে প্রচুর রক্ত জমাট হয়ে আছে।অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরনে রেগীর পালস, প্রেসার কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না। পরে রোগীর তিন ব্যাগ রক্ত লাগবে বলে দ্রুত আনতে বলেন রেগীর স্বজনদের তারা আনতে ব্যার্থ হওয়ায় ডাক্তাররা নিজ চেষ্টায় প্রথমে এক ব্যাগ রক্তদিয়ে তার চিকিৎসার কাজ শুরু করেন।রোগীর হিমোগ্লোবিন ৩.৫, খুব দ্রুত আরো দুই ব্যাগ রক্ত যোগার করার এক ঘন্টার মধ্যে রোগীর অপারেশন শুরু করেন সহকারী অধ্যাপক ডাক্তার রনজিত বিশ্বাস। অপারেন শুরুতেই পেট কেটে দেখেন রক্ত আর রক্ত।খুবই দক্ষতার সাথে অধ্যাপক তার সহকারী ডাঃ শেখা ও ডাঃ তন্নিকে নিয়ে অপারেশন শেষ করেন। এতো কম হিমোগ্লোবিনে মাত্র তিন ব্যাগ রক্ত নিয়ে ডাক্তার রনজিত মুমুর্ষ আফরোজার জীবন বাঁচাতে সক্ষম হয়েছেন।এনেসথেসিয়ার ছিলেন ডাঃমমতাজুক হক।একদক চৌকস সার্জনের টিম থাকায় এটা সম্ভব হয়েছে।আফরোজা এখন সম্পুর্ন সুস্হ ও আশংকা মুক্ত। এছাড়াও পাশের বেডেই আছেন নাসিরনগরের শরীফা,তিন দিনের রক্ত ক্ষরন নিয়ে সারাদিন বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরাঘুরির বিকালে ভর্তি হন ব্রাক্ষনবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।এই রোগী ডাক্তার রনজিত বিশ্বাস দেখে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে,এখই অপারেশন করলে মা ও বাচ্ছাকে বাচানো সম্ভব।মাত্র এক ব্যাগ রক্ত হাতে রেখেই সফল অপারেন। শরীফা ও মেয়ে সুস্হ আছেন। এই হাসপাতালে গাইনী ওয়ার্ডে ঘুরে দেখা যায় রোগী ডাক্তার ও নার্সের সেবায় সন্তুষ্ট। ব্রাক্ষনবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটি এরুপ দক্ষ চিকিৎসক না থাকলে হয়তো এই রকম জটিল রোগী বাচানো সম্ভব হত না।