
আখাউড়া।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় সড়কের পাশে বালু রাখায় সংশ্লিষ্টদের ১৭ লাখ টাকা আক্কেল সেলামি দিতে হচ্ছে। বালু রাখার কারণে সড়ক ভেঙে যাওয়ার অভিযোগে তাদের ওই পরিমাণ টাকা ‘জরিমানা’ হিসেবে গুনতে হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সুলতানপুর-চিনাইর-আখাউড়া সড়কের আখাউড়ার তিতাস সেতু এলাকায় প্রায় ১২০ ফুট সড়কের একাংশ দুদিন আগে ভেঙে যায়। এ ঘটনায় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু নাহিদ সোহাগ, ব্যবসায়ী হাসান খলিফা ও শানু খলিফাকে দায়ী করা হয়। ভাঙা সড়কের অপরপ্রান্তে বালু রাখার কারণে সড়কটি ভেঙে যায় বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ওই তিনজনকে সোমবার বিকেলে ডেকে পাঠান আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। পরবর্তী সময়ে ওই তিনজনকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বালু রাখা ব্যবসায়ীদের ১৭ লাখ টাকা জরিমানা হিসেবে দেওয়ার জন্য বলা হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সড়ক ও জনপথ বিভাগ ওই টাকায় সড়কের মেরামত কাজ করবেন বলে জানানো হয়। অভিযুক্ত আবু নাহিদ সোহাগ বলেন, বিষয়টি নিয়ে আলোচনার কথা বলে আমাদেরকে ডেকে নেন ইউএনও। একপর্যায়ে বিষয়টি পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়। আমরা চেয়েছিলাম সড়কটি মেরামত করে দিতে। ধারণা ছিল চার-পাঁচ লাখ টাকার মতো লাগবে। কিন্তু সড়ক ও জনপথ বিভাগ সড়কটি মেরামতে ১৭ লাখ টাকা লাগবে বলে একটি বাজেট তুলে ধরেন। জানানো হয় ওই টাকা আমাদেরকে দিতে হবে। সড়ক মেরামতের কাজ এর মধ্যেই শুরু হয়েছে। আমাদের বালুগুলোই সড়কের পাশে ফেলা হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, মূলত বালু রাখার জন্য নয়; সঠিকভাবে সড়ক নির্মাণ না করা ও বৃষ্টির পানির কারণে সড়কের একপাশ ধসে পড়ে। কিন্তু এখন সমস্ত দোষ আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে আমরা আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। আখাউড়ার ইউএনও তাহমিনা আক্তার রেইনা বলেন, ভাঙার খবর পাওয়া মাত্রই আগে সড়কের পাশঘেঁষে থাকা বালু সরিয়ে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে সড়ক ও জনপথ বিভাগের চাহিদা অনুযায়ী ঠিকাদাররা ১৭ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়। মেরামত কাজটিও করবে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। প্রসঙ্গত, উল্লেখিত সড়কের বিভিন্ন অংশে আরো ভাঙন রয়েছে। গত বছর সদর উপজেলার কোড্ডা অংশে একই কারণে সড়ক ভেঙে যায়। ওই সময় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে সড়ক মেরামতের কাজ করেন।