
ব্রাক্ষনবাড়িয়া।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউপির গৌতমপাড়া নামক এলাকা থেকে হেলন রানী (৫৫) নামের এক সংখ্যালঘু হিন্দু নারীর (গাঁছের মধ্যে) ঝুঁলন্ত লাশ উদ্বার করেছেন পুলিশ। নিহত হেলন রানী সুহিলপুর ইউপির গৌতমপাড়া এলাকার গোপালের স্ত্রী। স্থানীয়রা জানান, আজ ভোর সকালে এলাকার পার্শ্ববর্তীরা দেখতে পান গোপালের ঘরের পিঁছনের দরজার পাশে গাঁছের সাথে ঝুঁলিয়ে রয়েছে হেলন রানীর মরদেহ। পরে স্থানীয় এলাকাবাসীরা পুলিশকে খবর দিলে’ ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্যে মর্গে নিয়ে যান।নিহত হেলন রানীর ছেলে সাংবাদিকদের জানান, তাঁর বাবা গোপাল ও তাঁর মা হেলন রানী স্থানীয় গৌতমপাড়া এলাকার মৃতঃ ধনু মোল্লার ছেলে দাদন ব্যবসায়ী (সুদখোর) হুমায়ুন মোল্লাসহ এলাকার একাধিক সুদখোর (দাদন ব্যবসায়ীর) কাছ থেকে লাভের হাড়ে টাকা নেয়।এদিকে সুদের টাকার লেনদেনের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে গৌতম পাড়া এলাকার (দাদন ব্যবসায়ী) সুদখোর হুমায়ুন মোল্লা সাংবাদিকদের বলেন, আমি গোপাল ও হেলন রানীর কাছে ৫ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা লাভের উপর পাউনা আছি। প্রায় দেড়লক্ষ টাকা তারা আমাকে লাভও দিয়েছেন। টাকার জন্য’ আমি তাদের কোন হুমকী দেয়নি।ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে স্থানীয় ইউপি সদস্য খায়ের মেম্বার সাংবাদিকদের জানান, হেলন রানী ও তার স্বামী গোপালের পাউনাদারের তালিকা করেছি। কারা কারা হেলন রানী ও তার স্বামীর কাছ থেকে সুদের টাকা পাবে এর তালিকা চেয়ারম্যানের অবগতিক্রমে থানায় জমা দেওয়া হবে।অন্যদিকে ঘটনাটি আত্নহত্যা না পরিকল্পিত হত্যা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে এর প্রকৃত রহস্য উম্মোচনে প্রশাসনের নিকট দাবী জানান, স্থানীয় এলাকাবাসীরা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশ জানান, খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্বার করে ময়না তদন্তের জন্যে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহত হেলন রানী মৃত্যুর ঘটনাটি’ আত্নহত্যা নাকি, পরিকল্পিত হত্যা তা তদন্তকরে বিস্তারিত উদঘাটনে কাজ করছেন পুলিশ।