আমরা সময়ের কথা সময়ে বলি।

Advertisement

আখাউড়া, আন্তর্জাতিক, আশুগঞ্জ 20 July 2020 ৫৫৫

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের পর এবার চট্টগ্রাম নৌবন্দর ব্যবহার করে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে নিজেদের পণ্য নিতে শুরু করেছে ভারত। রড ও ডাল নিয়ে ‘সেজুতি’ নামের ভারতীয় জাহাজটি এরই মধ্যেই চট্টগ্রাম বন্দরের কাছাকাছি এসে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার যেকোনো সময় জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করতে পারে। ১৪ জুলাই জাহাজটি ভারতের কলকাতা থেকে বাংলাদেশের চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়। ভারতের জাহাজমন্ত্রী মনসুক মান্ধাভিয়া ওই দিন ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পতাকা নাড়িয়ে জাহাজের যাত্রা উদ্বোধন করেন।সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জাহাজে দুটি কনটেইনারে রড আছে ৫৩ দশমিক ২৫ মেট্রিক টন ও আলাদা দুটি কনটেইনারে ডাল আছে ৪৯ দশমিক ৮৩ মেট্রিক টন। চট্টগ্রাম বন্দরে আসার পর সড়কপথে টেইলরে করে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে যাবে এসব পণ্য। পণ্য পরিবহনে সাত ধরনের ফি বেঁধে দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, যা পণ্য পরিবহনকারী সংস্থা পরিশোধ করবে।
বাংলাদেশের ম্যাংগু লাইন নামের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ভারত থেকে পণ্য পাঠাচ্ছে ডার্সেল নামের একটি প্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য খালাস করবে কেজি শিপিং ইন্টারন্যাশনাল। আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য পরিবহনের দায়িত্বে থাকবে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল। ডাল গ্রহণ করবে ভারতের গুয়াহাটির প্রতিষ্ঠান ইটিসি অ্যাগ্রো প্রসেসিং ও রড গ্রহণ করবে আগরতলার এস এম করপোরেশন লিমিটেড। আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী মো. আক্তার হোসেন বলেন, ‘জাহাজটি নির্ধারিত সময় থেকে এক দিন পিছিয়ে মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বন্দরে এসে নোঙর করতে পারে। ওই দিনই কনটেইনারগুলো খালাস করে বুধবার আখাউড়া বন্দর দিয়ে পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তবে সব কিছু নির্ভর করবে জাহাজ কখন এসে পৌঁছায় সেটার ওপর।’একাধিক সূত্রে জানা গেছে, পণ্য পরিবহনে সহজ পথের বিবেচনায় আশুগঞ্জের পাশাপাশি চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার করতে চায় ভারত। এর আগে আশুগঞ্জ নৌবন্দর ব্যবহার করে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের যন্ত্রের পাশাপাশি অন্যান্য পণ্য নিয়ে যায় ভারত। এখন থেকে তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীও নিতে চায়। বিশেষ করে সেভেন সিস্টার হিসেবে পরিচিত ভারতের ত্রিপুরাসহ সাতটি রাজ্যের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নিতে আগ্রহী হয়ে ওঠে সে দেশের সরকার ও ব্যবসায়ীরা। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের সঙ্গে পণ্য পরিবহনের চুক্তি হয়।