আমরা সময়ের কথা সময়ে বলি।

Advertisement

গরুর সংকট বেড়ে গেছে দাম

জাতীয় 31 July 2020 ৪৩৮

ঢাকা।।

করোনাকালে এলো কোরবানির ঈদ। অনেকেই এবার কোরবানির পশু খুজছেন একটু কম মূল্যে। আবার অনেকে এবার দিচ্ছেন না কোরবানি। বিক্রি কম, শঙ্কায় খামারিরা এতোদিন এমন সংবাদ আসলেও আচমকা দেখা দিয়েছে গরুর সংকট, বেড়ে গেছে দাম।রাজধানীতে শেষ মুহুর্তে গরু কিনতে আসা লোকেরা পড়েছেন বিপাকে। মোহাম্মদপুর থেকে গরুর জন্য ছুটছেন আবুল কালাম আজাদ। বলেন, আশে পাশের ৪/৫টি পশুর হাট ঘুরলাম কোথায়ও সাধ্যের মধ্যে গরু পেলাম না। যে আকারের গরু আমার প্রতিবেশী ৮০ হাজার টাকায় কিনেছে সেটা এখন ১ লাখ বললেও দিচ্ছে না৷ তিনি আরো বলেন, বাসায় রাখা ঝামেলা, তাই শেষ দিনে গরু কিনতে আসা তার।গাবতলির গরু বিক্রেতা মিলন মিয়া বলেন, গরু নিয়ে চিন্তায় ছিলাম বিক্রি হবে কিনা? ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া অনেক ক্ষতি। এরপর রাতেই অনেক ক্রেতা আসে।আমার ৪ টা গরু ছিল ৩ টাই বিক্রি করে দিছি। একটা গরু আছে সকালে দেখি লোক বেড়ে গেছে। যে গরু কাল রাতে ১ লাখ টাকায় বিক্রি করেছি তা এখন ৩০/৪০ হাজার বেশি দামে বিক্রি করা যাচ্ছে।একজন ইজারাদার বলেন, গত কয়েকবছরের মধ্যে এমন গরু সংকট দেখিনি। গাবতলি হাটের একজন চা বিক্রেতা জানান, গতকাল রাত ১০টার পর থেকে হাটে ক্রেতার সংখ্যা অনেক বেড়ে যায়। রাত তিনটা নাগাদ হাটের অধিকাংশ গরু বিক্রি হয়ে যায়।
একই চিত্র শনির আখড়া পশুর হাটেও। একটি গরু ৯০ হাজার টাকায় বিক্রি করলেন দিনাজপুরের ব্যবসায়ী আলিম উদ্দিন। ক্রেতা আমিরুল ইসলাম বলেন, এই সাইজের গরু ৫০/৬০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। আজ ৯০ হাজার টাকায় কিনতে হলো। ব্যবসায়ী আলিম বলেন, করোনার কারণে ভয়ে ছিলাম গরু বিক্রি হবে কিনা। কিন্তু হঠাৎ কাল রাতে সব গরু বিক্রি হয়ে গেলো। একটা গরু ছিল সেটাও বিক্রি করলাম। এমন অবস্থা হবে জানলে কাল রাতে গরু বিক্রিই করতাম না। সকালের জন্য রেখে দিতাম।শনির আখড়ার মতো গরুর সংকট ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ধূপখোলা গরুর হাটেও। সেখানের এক ব্যাপারি বলেন, এখন যে পরিমাণ ক্রেতা আছে গরু তার অর্ধেকও নাই। পাশের জেলার ব্যাপারিরা এটা শুনে কিছু গরু ঢাকায় আনতেছে। বিকাল বা সন্ধ্যার দিকে আসবে গরু তখন যদি গরু পায় মানুষ।