
ব্রাক্ষনবাড়িয়া।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের দীর্ঘদিনের প্রাচীন কালাইশ্রীপাড়ায় গুরুচরণ রায়ের আখড়াবাড়ীর পশ্চিমের অংশে নির্মিত পাকাস্থাপনা (ইমারত) নির্মাণের আপত্তি জানিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে আবেদন করেছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ।আবেদনে মন্দিরের জায়গা পুনঃউদ্ধারের দাবি জানিয়ে নির্মাণাধীন অবৈধ স্থাপনাটি উচ্ছেদের দাবি জানান তারা।অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার কালাশ্রীপাড়া শ্রীশ্রী গুরুচরণ রায়ের আখড়াবাড়ীর সেবায়েত অসুস্থ অনীল চন্দ্র রায়ের ছেলে জীব উৎস রায় (টেন্টু) মন্দিরের ভূ-সম্পত্তি দেখাশোনা করে আসছেন। এই সুযোগে প্রভাবশালী ভূমিখেকোদের যোগসাজশে মন্দিরের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি টাকার বিনিময়ে অন্যের কাছে হস্তান্তর করেছেন। অনেকে এই সুযোগে মন্দিরের জায়গায় পাকা স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। আর সুযোগকে কাজে লাগিয়ে গুরুচরণ রায়ের আখড়াবাড়ীর পশ্চিমের অংশে পেছনের দেবোত্তর সম্পত্তির ওপর পাকাস্থাপনা (ইমারত) নির্মাণ করছেন দিলীপ সাহা। বিষয়টি জেনেও গুরুচরণ রায়ের আখড়াবাড়ীর সেবায়েত অসুস্থ অনীল চন্দ্র রায়ের ছেলে জীব উৎস রায় (টেন্টু) নিরব রয়েছেন।এ ঘটনায় ক্রমশ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন এলাকার ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষ। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে তারা দেবোত্তর সম্পত্তির ওপর নির্মাণাধীন ভবনটি অপসারণের দাবি করেন।এ বিষয়ে অভিযুক্ত দিলীপ সাহা সাংবাদিকদের জানান, তার আপন মাসি সেবায়েত অনিল চন্দ্র সাহার বাড়িতে কাজ করার সুবাদে সাদা কাগজে মন্দিরের জায়গায় থাকার অনুমতি দেয়। সাদা কাগজের থাকার অনুমতির ওপর ভিত্তি করে তিনি পাকাস্থাপনা (ইমারত) নির্মাণ করছেন। এছাড়া তার কাছ কোনো কাগজপত্র নেই বলে জানিয়েছেন।এ ব্যাপারে শ্রীশ্রী গুরুচরণ রায়ের আখড়াবাড়ীর সেবায়েত অসুস্থ অনীল চন্দ্র রায়ের ছেলে জীব উৎস রায় (টেন্টু) জানান, এ বিষয়ে দিলীপ রায়কে বাঁধা দেয়া হয়েছে। তিনি প্রভাবশালী চক্রের সদস্য হওয়ায় আমি আমার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত আছি। তিনি আমার বাঁধা মানেননি। এ ব্যাপারে কোনো আইনগত পদক্ষেপ নেবেন কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, বিষয়টি নিয়ে মন্দির সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়ুয়া জানান, মন্দিরের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণে ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কাগজপত্র ছাড়া ভূমি খেকো চক্রের সদস্যরা যত বড় শক্তিশালী হউক না কেন, দেবোত্তর সম্পত্তির ওপর কোনোভাবেই পাকা এবং স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করতে পারবে না। প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মো. কাউছার আহমেদ জানান, দেবোত্তর সম্পত্তি হওয়ার কারণে আমাদের কাছ থেকে অনুমোদন নেয়নি। পৌরসভার অনুমোদন ছাড়া পাকা স্থাপনা নির্মাণ করতে পারবে না। আমরা আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।