
সরাইল।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে দাফনের তিন মাস পর বায়েজিদ নামে এক স্কুলছাত্রের মরদেহ কবর থেকে তোলা হয়েছে। সোমবার দুপুরে সরাইল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা প্রিয়াংকার উপস্থিতিতে উপজেলার আইরল গ্রামের কবরস্থান থেকে বায়েজিদের মরদেহ তুলে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।মামলা সূত্রে জানা গেছে, সরাইল উপজেলার পুলিশ আইরল গ্রামের বাসিন্দা হেলাল মিয়ার সঙ্গে প্রতিবেশী মাসুক মিয়ার খড়ের কুঞ্জে আগুন দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল।গত ১৩ মে সকালে হেলালের ছেলে ও আইরল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্র বায়েজিদ প্রতিবেশী মাসুক মিয়ার পুকুরে যায়। পরে সে বাড়িতে না ফেরায় তার মা-বাবা মাসুকের বাড়িতে গিয়ে দেখেন পুকুর ঘাটের সিঁড়িতে বায়েজিদ অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে আছে। পরে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে বায়েজিদ মারা যায়। পরে বায়েজিদের মরদেহ আইরল কবরস্থানে দাফন করা হয়।গত ১৯ জুলাই বায়েজিদের বাবা হেলাল মিয়া বাদী হয়ে বায়েজিদকে হত্যার অভিযোগে প্রতিবেশী মাসুক মিয়া ও তার পরিবারের আরো ৯ জনকে আসামি করে আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।আদালতের নির্দেশে গত ৩১ জুলাই সরাইল থানায় মামলাটি নথিভুক্ত করে। আদালত ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে বায়েজিদের মরদেহ তোলার আদেশ দেন। নির্দেশ অনুযায়ী বায়েজিদের মরদেহ কবর থেকে তোলা হয়।সরাইল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা প্রিয়াংকার উপস্থিতিতে মরদেহ তোলার সময় সরাইল থানার ওসি (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাস উপস্থিত ছিলেন।সরাইল উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা প্রিয়াংকা বলেন, ময়নাতদন্তের পরই পুরো বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।