আমরা সময়ের কথা সময়ে বলি।

Advertisement

ব্রাক্ষনবাড়িয়ায় পার্কিং জায়গায় দোকান তুলে ভাড়া দিলেন প্রভাবশালীরা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর 18 August 2020 ৮৯৯

শরীফ মাহমুদ।।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র কোর্ট এলাকায় বিশাল আঁকারের বহুতল ভবন নির্মাণকরে শপিংমল ও বাণিজ্যিক মার্কেট নির্মাণকরা হলেও মার্কেটে আসা ক্রেতাদের গাড়ি পার্কিং এর নামে বরাদ্বকৃত জায়গায় দোকান কোটা নির্মাণকরে অর্থ বাণিজ্য করছেন মার্কেট মালিকরা। এতেকরে কোর্ট রোড সড়কটির কারণে প্রতিনিয়তই যানযটে মুঁখরিত থাকে পুরো শহর এলাকা।পার্কিং ব্যবস্থা না থাকায়, কোর্ট রোডের এই সড়কে যানবাহনের কারণে পায়ে হেটেও হিমশিম খেতে হয় পথচারীদের। আর রিক্সা ও প্রাইভেটকার নিয়ে প্রবেশ করলে দুর্ভোগের কোন সিমা নেই, এই সড়কে চলাচলরত মানুষের ।অন্যদিকে চার মালিকের সুযোগ-সুবিধা একাই ভোগকরে শহরের কোর্ট রোড পুরাতন কাঁচারী এলাকার মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পুরাতন (কার্যালয়) জজ কোর্টের সরকারি জায়গায় গাড়ি পার্কিং এর নামে লিজ নিয়ে দোকান কোটা নির্মাণকরে মোটা অংকের সিকিউরিটি (জামানত) গ্রহণ করাসহ মাসিক ভাড়া হাতিয়ে নিচ্ছেন জেলা শহরের বিশিষ্ট প্রভাবশালী ঠিকাদার হারুন উর-রশিদ হিরো নামের এই ভিআইপি (পারসন) ।শহরের সিটি সেন্টার মার্কেট । শুরু থেকে এই মার্কেটের মালিক চারজন। তারা হলেন, সাবেক উপমন্ত্রী মরহুম এডভোকেট হুমায়ুন কবীর, কুয়েত প্রবাসী লুৎফর রহমান মুকাই আলী, হারুন উর- রশিদ হিরো ও তার বড়ভাই ভাই আবুল ফায়েজ। চার মালিকের মালিকানার এই সিটি সেন্টার মার্কেটের অধিকাংশ দোকান কোটা বাহিরের পাবলিকের কাছে বিক্রি করা হয়। এখন সিটি সেন্টার মার্কেটের দু‘একটি দোকান কোটার মালিক এরা চারজন।জানাযায়, পুরাতন কাঁচারীর পাড় এলাকার মুক্তিযোদ্ধা সংসদের (টিনসেট) ঘরের পুরাতন কার্যালয়ের পাশে কুমিল্লা সিলেট সড়কের কিছুটা অংশও হিরো মিয়ার মিনি মার্কেটের জায়গায় দখলে।সড়কের জায়গায় মার্কেট নির্মাণ কয়ায় প্রতিনিয়তই যানযট হওয়াসহ বিভিন্ন যানবাহনকে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়।শুধু তাই নয়, হারুন উর-রশিদ হিরো মিয়া পৌরসভার ড্রেইনও দখলে নিয়েছেন এ মিনি মার্কেটের ভিঁতর । এনিয়ে একাধিকবার পৌরসভা কতৃক  ড্রেইন উদ্বারের অভিযানও চালানো হয়। তবে প্রভাব খাটিয়ে পৌরসভাকে ড্রেইন নির্মাণে বাধা দেন তিনি।অন্যদিকে হিরো মিয়ার ভাইপো দাবী করা সুজন মিয়া এই সড়কের বিভিন্নস্থান থেকে হকারের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত আদায় করছেন চাঁদা। আবার রাতের আধারে ‍সুজনের নেতৃত্বে হিরো মিয়ার এই মার্কেট রুপান্তিত হচ্ছে’ মিনি পতিতালয়ে। রাত ১২ টার পর এখানে জমে মিনি পতিতালয়। অসামাজিক কাজে জড়িত থাকা নারীরা সাংবাদিকদের জানান, বেকারীর মালিক সুজন মিয়ার নির্দেশেই তারা রাতের আধারে এই মার্কেটে অবস্থান নিয়ে খদ্দর আনেন। মার্কেটের পিছনের অন্ধকার দোকান কোটায় চলে এই সমস্ত অসামাজিক কাজ।  হিরো মিয়ার ভাইপো দাবী করা পতিতার দালাল সুজনকে গত বছরে কোর্টরোডের হিরো মিয়ার হোটেল থেকে এক পতিতা সর্দানীসহ  সহ হাতেনাতে আটকও করেছেন সদর থানা পুলিশের তৎকালীন এ এস আই মেহেদী হাসান । গাড়ি পার্কিং এর নামে লিজ নেওয়া জজকোর্টের এই সরকারি জায়গা রাঁতের আধারে অপরাধের স্বর্গরাজ্যে এখন পরিণত হয়েছে অপরদিকে কোর্ট রোডে অবস্থিত বহুতল ভবন ফরিদ উদ্দিন আনোয়ার (এফ.এ টাওয়ার) নির্মাণকরার শুরু থেকে ক্রেতাদের পার্কিং এর জায়গা দেখানো হলেও (আন্ডারগ্রাইন্ডে) করা পার্কি এর জায়গায় এখন দোকান কোটা নির্মাণকরে জমজমাট ভাবে অর্থ বাণিজ্য করছেন মার্কেট কতৃপক্ষ। এই মার্কেটে দোকান কোটা ক্রয়করা ক্রেতাদের সাথে একধরণের প্রতারণাও করেছেন মার্কেটের মালিক কতৃপক্ষরা।ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পরিবেশ বিশ্লেষজ্ঞরা বলছেন, শহরের পরিবেশ নষ্ট হয় এমন সকল ধরণের অনিয়মকাজে জড়িত জেলা শহরের কোটিপতি নামধারী (ভিআইপি) পারসনরাই সবচেয়ে জড়িত।পরিবেশ বিশ্লেষজ্ঞরা আরো বলেন, সাধারণ নীরিহ লোকজন আইন মেনেই সবকিছু করতে হয়। আর যত আইন এদেশের সাধারণ মানুষের জন্যে প্রযোয্য বলেও মন্তব্য করেন পরিবেশ বিশ্লেষজ্ঞরা।এফ.এ টাওয়ারের মার্কেটের দোকানীরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা জানান, আমাদের মার্কেটে গাড়ি নিয়ে কোন ক্রেতা আসতে পারে না। একটাই কারণ এখানে পার্কিং এর জায়গা নেই। তারা বলেন, মার্কেটের মালিকপক্ষরা আগে বলেছেন, এই মার্কেটের (আন্ডারগ্রাইন্ডে) গাড়ি পার্কিং এর পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে। কিন্তু এখন দোকান কিনে দেখছি, আমার দোকানে যে কাস্টমার আসবে, তাদের গাড়ি রাখারই কোন জায়গা নেই। পার্কিং এর জায়গাও পরবর্তীতে গড়েউঠেছেন দোকান কোটা।ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের কোর্টরোড এলাকার যানযট নিরসনে অবৈধ এইসব দোকান কোটা উচ্ছেদ পূর্বক পার্কিং এর জায়গা উম্মুক্ত করার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্থানীয় সদর-৩ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য ও জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নিকট জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।