
ডেস্ক।।
ইউএনও ওয়াহিদার ওপর হামলার ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে। দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী শেখকে হাতুড়িপেটা ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর আহত করার ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি আসাদুল হককে আটক করেছে পুলিশ ও র্যাবের যৌথ একটি টিম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাকিমপুর থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ।আজ শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভোর ৫টার দিকে হাকিমপুর থানাধীন হিলির কালিগঞ্জ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। সে ঘোড়াঘাট উপজেলার ওসমানপুরের আমজাদ হোসেনের ছেলে। আসাদুলই ইউএনওর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।হাকিমপুর থানা পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হাকিমপুর, বিরামপুর ও ঘোড়াঘাট থানা এবং র্যাব রংপুরের একটি দল যৌথভাবে শুক্রবার ভোররাত ৪টা ৫০মিনিটে হিলির কালিগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসাদুল হককে আটক করে। সে ওই ঘটনার প্রধান আসামি। ইউএনওর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করেছে সে। তাকে রংপুরে র্যাব কার্যালয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ঘোড়াঘাট থানার ওসি আমিরুল ইসলাম জানিয়েছেন র্যাব ও পুলিশের একই টিম জাহাঙ্গীর নামের আরও একজনকে আটক করেছে। সে ওই ঘটনার সাথে জড়িত বলে জানিয়েছেন তিনি।প্রসঙ্গত, বুধবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইউএনও’র সরকারি বাসভবনে ঢুকে হামলা করে দুর্বৃত্তরা। গেটে দারোয়ানকে বেঁধে ফেলে তারা। পরে বাসার পেছনে গিয়ে মই দিয়ে উঠে ভেনটিলেটর ভেঙে বাসায় প্রবেশ করে হামলাকারীরা। ভেতরে ঢুকে ভারী ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এবং আঘাত করে ইউএনও ওয়াহিদাকে গুরুতর আহত করে তারা। এ সময় মেয়েকে বাঁচাতে এলে বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকে (৭০) জখম করে দুর্বৃত্তরা। পরে তারা অচেতন হয়ে পড়লে মৃত ভেবে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। ভোরে স্থানীয়রা টের পেয়ে তাদের উদ্ধার করেন।ওয়াহিদা খানম বর্তমানে ঢাকায় চিকিৎসাধীন। ইতোমধ্যে তার অস্ত্রোপচার শেষ হয়েছে। অস্ত্রোপচার সফল হলেও ইউএনও ওয়াহিদা আশঙ্কামুক্ত নন বলে জানিয়েছেন চিকিসকরা। বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে ডা. জাহিদুর রহমানের নেতৃত্বে এ অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। রাত সোয়া নয়টা থেকে শুরু হয়ে রাত সোয়া ১১টা পর্যন্ত চলে এই অস্ত্রোপচার।