
বিজয়নগর।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব দিবস ২০২০ পালনে যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে নানান অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে । জানা যায়, প্রতি বছরই সরকারি বরাদ্ধের পাশাপাশি তিনি উপজেলার প্রতিটি যুব সংগঠন থেকে যুব দিবস পালনে হাজার হাজার টাকা চাদা উঠান । আর তারই ধারাবাহিকতায় এ বছরও তিনি যুব সংগঠনের সদস্যদেরকে নিয়ে তার কার্যালয়ে এক প্রস্তুতি সভা করেন । উক্ত সভায় খাবারের মেনু নির্ধারন করে প্রতি পেকেটে ১৫০ টাকা করে বাজেট ধরেন । আর সেই অনুপাতে তিনি ১০ টি যুব সংগঠন থেকে সরকারী বাজেটের বাইরেও প্রায় ২০ হাজার টাকা চাদা বাবদ কালেকশন করেন । দিবসের সমস্ত দায় দায়িত্ব তিনি নিজেই গ্রহণ করেন । আর তার ইচ্ছেমত নিম্ম মানের খাবার সরবরাহ করেন । এতে যুব সংগঠনের লোকজন ক্ষুব্দ হয়ে প্রতিবাদ করেন । তিনি নিম্ম মানের খাবার সংগ্রহ করে তার পকেট ভারী করেছেন বলে যুব সংগঠনের লোকজন দাবী করছেন । গত বছর সাতগাও যুব সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাসুক মিয়াকে তার খরচের টাকা না দিয়ে উক্ত যুব উন্নয়ন অফিসার অপমান করেছেন । সারা বছর যুব সংগঠনের সদস্যদেরকে দিয়ে বিভিন্ন ট্রেনিং প্রোগ্রাম করান কিন্তু বাজেট নাই নাই বলে সংগঠনের সদস্যদেরকে বোকা বানিয়ে হাজার হাজার টাকা আত্বসাৎ করছেন । কোন ধরনের মিডিয়াকে না জানিয়ে মনগড়া মত বেনার টানিয়ে ট্রেনিং এর নামে দূর্নিতি করছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে । যুব ঋন বিতরনেও তিনি নানান অনিয়ম করছেন । মনগড়া মত যার সাথে তার ভাল সম্পর্ক শুধু তাকেই ঋন দিচ্ছেন । বাকীরা বছরের পর বছর ঘুরেও কোন সুবিধা পাচ্ছেন না । ২০১০ সালে বিজয়নগর উপজেলা সৃষ্টির পর হতে তিনি এখানে যোগদান করেছেন । দীর্ঘ ১০ বছরে তিনি অনিয়মের পাহাড় গড়েছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে । এ ব্যাপারে তিতাস ফ্রেন্ডস যুব সংগঠনের সদস্য পিন্টু মালাকার ও অভিযান এর সদস্যবৃন্দসহ সকল যুব সংগঠেন সদস্যরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছেন । এ বিষয়টি অভিযান এর চেয়ারম্যান মোঃ সারুয়ার হাজারী পলাশ সকল যুব সংগঠনের পক্ষ থেকে বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি ফোনে জানিয়েছেন এবং তার প্রতিকারের দাবী ব্যক্ত করছেন ।এব্যাপারে যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিবেদক কে বলেন ১০ টি যুব সংগঠনের নেতারা আমাকে ১৬৫০ টাকা করে দিয়েছে। আমি জোর করে কারু কাছ থেকে টাকা নেয়নি।তরা অনিয়মের কথা,জানতে চাইলে তিনি এরিয়ে যান এবং পরে কথা বলবে বলে ফোন রেখে দেন।
এদিকে বিজয়নগর ইউএনও ইয়াছির আরাফাতের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।