আমরা সময়ের কথা সময়ে বলি।

Advertisement

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আদালতের চত্বর থেকে ডিবি পরিচয়ে এক শিশুকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর 3 November 2020 ৪৮৪
ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা দায়রা জজ আদালতের চত্বর থেকে গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পরিচয়ে এক শিশুকে তার মায়ের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা করা হয়েছে। ২ নভেম্বর সোমবার দুপুরের দিকে এই ঘটনা ঘটে।এই ঘটনায় ভুক্তভোগীর পক্ষে তার ভাই কিবরিয়া হাসান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। আখাউড়ার রাধানগরের মৃত হোসেন পাঠানের ছেলে কিবরিয়া হাসানের লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, আমার বোন ইসরাত জাহানকে ঢাকার উত্তরখানে সাইফ উদ্দিনের কাছে বিয়ে দেওয়া হয়। তাদের আহিয়ান সিদ্দিক নামের সাড়ে ৫বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। ইসরাত জাহান ও সাইফ উদ্দিন সিদ্দিকের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ায়, তাদের সন্তান আহিয়ানকে সাইফ উদ্দিন জোরপূর্বক তার কাছে রেখে দেন। ইসরাত তার সন্তানের কাস্টডি পেতে আখাউড়া সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতে ৪৫/২০১৯ইং মামলা দায়ের করেন।উক্ত মামলায় আদালত নাবালক সন্তানকে প্রত্যেক ধার্য্য তারিখে হাজিরায় মাকে দেখানোর আদেশ দেন। সেই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে সাইফ উদ্দিন জেলা জজ আদালতে সিভিল রিভিশন ১৪/২০২০ইং দায়ের করেন। সে রিভিশনে আদালতের নির্দেশক্রমে সোমবার (২নভেম্বর) সাইফ উদ্দিন শিশু আহিয়ান সিদ্দিককে নিয়ে আদালতে হাজির হন।
পরে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত শিশু প্রত্যেক ধার্য্য তারিখে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত আহিয়ানকে মায়ের কাছে থাকার নির্দেশ প্রদান করেন। শুনানির পর শিশু আহিয়ানকে কোলে নিয়ে মা ইসরাত আদালতের ফটকে আসার পর, সাইফ উদ্দিন সিদ্দিক ও জেলা ডিবি পুলিশের সহায়তায় জোর করে শিশু আহিয়ানকে মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আদালতে থাকা আইনজীবী ও লোকজনের প্রতিবাদে তা ব্যর্থ হয়। এক পর্যায়ে ডিবির সদস্যরা দেখে নেওয়ার হুমকি প্রদান করেন। ডিবি সদস্যরা কোর্ট প্রাঙ্গণ ছেড়ে যাওয়ার সময় মোবাইলে এই দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে ও আদালতের সিসি টিভি ক্যামেরায় তা ধারণ করা আছে। শিশু আহিয়ানের মা ইসরাত জাহান বলেন, তারা ডিবির পোশাক পড়া ছিল। আমার শিশুকে নিয়ে যাওয়ার সময় আমি ডিবি পুলিশ পরিচয় দেওয়া লোকজনের পায়ে পর্যন্ত ধরি। তারা এসময় জানায়, তাদের হেফাজতে আমার শিশুকে নিয়ে যাচ্ছে। বাধা দিলে আমার ভাইকে মাদক মামলায় দেওয়ার হুমকি দিয়েছে।এই বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান বলেন, আমরা লিখিত একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখবো। অভিযোগ প্রমাণিত হলে, ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।