
নাসিরনগর।।
ব্রাহ্মবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক ও শয্যা সংকটে মারাত্বক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা ব্যবস্থা।নাসিরনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের ২১টি পদের বিপরীতে আছে মাত্র ৮ জন।গাইনি, সার্জারি, ডেন্টাল সার্জন, অর্থপেডিক্স, মেডিসিন, এনেসথেসিয়াসহ ১১টি গুরুত্বপূর্ণ পদ রয়েছে খালি। ফলে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে নাসিরনগর সহ পাশের কয়েকটি উপজেলা থেকে আসা সাধারণ মানুষ।সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতিদিনের মত চিকিৎসকদের কক্ষের সামনে লম্বা লাইন। কথা হয় ডাঃ সোয়েব শাহারিয়া,ডাৌ সাইফুল ইসলাম,ডাঃতানভীর অানসারী সহ কযেকজন চিকিৎসকের সঙ্গে।তারা জানান, প্রতিদিন কমপক্ষে প্রায় ৫০০ রোগী এ হাসপাতাল সেবা নিতে অাসে। এত মানুষকে সেবা দিতে তাদের কিছুটা সমস্যা হয় বলেও জানান তারা। তারপরও অাগত রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে চেষ্টা করছেন তারা।গাইনি চিকিৎসক না থাকায় মহিলা রোগীরা অনেকেই ফিরে যাচ্ছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার এনেসথেসিয়া পদটি দীর্ঘকাল ধরে শূন্য রয়েছে। অ্যানেসথেসিস্ট না থাকায় এখানে কোনো ধরনের অস্ত্রোপচার হয় না। গাইনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাবে জটিল রোগে আক্রান্ত নারীদের বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রে গিয়ে অতিরিক্ত টাকা গুণতে হচ্ছে।তাছাড়াও হাসপাতালটিতে ৫০ টি শয্যা থাকলে ও প্রতিদিন গড়ে ৮০থেকে ৯০ জন রোগীকে ভর্তি দিতে হচ্ছে।শয্যা সংকটের কারনে।পর্যাপ্ত শয্যা না থাকায় এই শীতের মাঝেও রোগীদের নীচে ফ্লোরে শুয়ে শুয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে হচ্ছে।উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অভিজিৎ রায় বলেন, আমি দায়িত্ব নিয়ে হাসপাতালের সেবার মান অনেক উন্নতি করেছি। এ ব্যাপারে আমাকে স্থানীয় এমপিসহ আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অনেক সহযোগিতা করেছে। শয্যা ও চিকিৎসক সংকটের বিষয়টি উর্ধতন কতৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে বলেও জানান এ কর্মকর্।তবে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পদ খালি থাকায় চিকিৎসা দিতে আমাদের কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। এনেসথেসিয়ার অভাবে কোনো ধরনের অপারেশন করতে পারছি না।মুঠো ফোনে কথা হয় ব্রাহ্মণাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ একরাম উল্লাহর সাথে।তিনি বলেন, জনবল শূন্যতার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে চিকিৎসক শূন্যতা কাটিয়ে দেবেন বলে মনে করেন তিনি।