
ব্রাক্ষণবাড়িয়া।।
লোকজনের আনাগোনা ছিল খুবই কম ভাড়া করা বাড়িটিতে। সেখানেই তৈরি হতো ৪৯ ধরনের ওষুধ, তবে অনুমোদনহীন। নেই কোনো কেমিস্ট। ওষুধ কম্পানির এক সময়কার বিক্রয় প্রতিনিধিই বানাতেন এসব ওষুধ। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি কাজটি করে যাচ্ছিলেন।অবশ্য শেষ রক্ষা হয়নি। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে সেই ব্যক্তিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা গুনতে হয়েছে। পাশাপাশি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে কথিত ওষুধ কম্পানিটি। উদ্ধার করা হয়েছে ওষুধ বানানোর বেশ কিছু সরঞ্জামাদি।বুধবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিসীমা এলাকায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পঙ্কজ বড়ুয়া এ অভিযান পরিচালনা করেন। সেখানকার একটি বাসা ভাড়া নিয়ে গবাদিপশুর ওষুধ বানানো হতো।পঙ্কজ বড়ুয়া জানান, লোকচক্ষুর আড়ালে ওই বাড়িতে গবাদিপশুর ওষুধ বানাতেন নাসিরনগর উপজেলার কামরুল হাসান চকদার নামে এক ব্যক্তি। বাজার থেকে পাওয়া চাহিদা অনুযায়ী ৪৯ ধরনের ওষুধ বানানো হতো এতে। ‘লরেল ভিস্তা’ নামে কম্পানির নাম দিয়ে ওষুধ বাজারজাত করা হতো। অথচ এর কোনো অনুমোদন নেই।তিনি আরো জানান, অভিযানের সময় ওই কম্পানিতে কোনো কেমিস্ট পাওয়া যায়নি, মান নিয়ন্ত্রণের কোনো ব্যবস্থা নেই, ওষুধের মোড়কের গায়ে মিথ্যা তথ্য দেওয়া হয়েছে, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের প্যাকেট পরিবর্তন করে নতুন প্যাকেট ওষুধ ভর্তি করে বিক্রি করা হতো। কামরুল হাসান চকদার আগে ওষুধ কম্পানির প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন।