
ব্রাক্ষণবাড়িয়া।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় হাঁসের ডিমের টাকা আনতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৪ সন্তানের জননী(৩৫)। ওই নারী একটি হাঁসের খামারের সত্ত্বাধিকারী।গত রবিবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চিনাইর নোয়াবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে ।ভিকটিমের স্বামী আলম শিকদারের কাছ থেকে জানা যায়, গতকাল বিকেলে ডিম ও হাঁসের টাকার হিসাব দিবে বলে চিনাইর শয়তাইন্না ঘাটে যেতে বলেন মানজু মিয়া ও সাচ্চু মিয়া। তাদেরকে উচিত টাকা না দিয়ে, হঠাৎ ২০-৩০ জন আইস্যা মারধর শুরু করেন। পরে তাকে তিতাস নদীতে ফেলে দিয়ে তার স্ত্রীকে ইঞ্জিনের নৌকা দিয়ে তিতাস নদীর পূর্বপাড়ের বিলে একটি ঘরে নিয়ে আটকিয়ে রাখেন। তারপর সন্ধ্যার দিকে মৃত শাহিদ মিয়ার ছেলে মানজু মিয়া তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।সদর মডেল থানার এএসআই মোশারফ হোসেন জানান, গতকাল সন্ধ্যার দিকে ভিকটিমের স্বামী থানায় ডিউটি অফিসারকে জানান। পরে কয়েকজন পুলিশ সদস্য ও তার স্বামী আলম সিকদারকে নিয়ে তিতাসের পূর্বপাড়ের বিলের একটি ঘরের পাশ থেকে ওই মহিলাকে উদ্ধার করেন।তিনি জানান, কে বা কারা ঘরের ভিতরের আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল তা জানতে পারিনি। পরে নদীর ওইপাড় মহিলার চিতকার ও ঘরের আগুন দেখি। তারপর দ্রুত ওইখান থেকে মহিলাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।ভিকটিম জানান, ৩মাস আগে তিতাস নদীর পূর্বপাড়ে বিলে ১১শ হাঁস নিয়ে একটি খামার দিয়েছিল। যখন বাড়ির হাঁসের খামারটি বিলে নিয়ে যায়, তখন মানজু ও সাচ্চু দাবী করেন এ হাঁসের খামারের মালিক তারা। এর আগে হাঁসের খামার যখন বাড়িতে ছিল তখন তারা দুইভাই ৭বছর কাজ করেন।। হাঁসের খামার বিলে নেওয়ার পর থেকে তাকে হাঁসের ডিমের টাকা দেয়না মানজু মিয়া। গতকাল টাকা দিবে বলে মারধর করার পর তুলে নিয়ে বিলের পাড় একটি ঘরে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আব্দুর রহিম জানান, গতকাল সন্ধ্যার দিকে একটি মহিলা উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ওই মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা এব্যাপারে সঠিক ইনফরমেশন পাওয়া যায়নি। মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ডাক্তারি পরিক্ষার পর বুঝা যাবে তাকে কি আসলেই ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা! পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করলে, অবশ্যই আইনী সহযোগিতা পাবে।