
রিপন।।
মা সরস্বতী বিদ্যা, বাণী আর সুরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী।
মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে শুভ্র রাজহংসে চেপে মা সরস্বতী আসেন জগতে।
প্রতিমা স্থাপন করে পূজার আনুষ্ঠানিকতা সূচিত হয়,
প্রত্যুষে দেবীকে দুধ, মধু, দই, ঘি, কর্পূর, চন্দন দিয়ে স্নান করানো হয়,,,
এরপর বাণী অর্চনার মধ্যদিয়ে–
মায়ের পায়ের নিচে বই ,কলম রেখে প্রার্থনায় মুখরিত সকল ছাত্র-ছাত্রী সহ সমস্ত ভক্ত অনুরাগী মানুষ,,,
শুধু হিন্দু ছাত্র-ছাত্রীরাই নয়,
অনেক মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীরাও মায়ের কাছে,,
বিদ্যা-বুদ্ধি-জ্ঞান অর্জনের জন্য প্রার্থনা করেন,
তাদের বিশ্বাস আর ভক্তিদ্বারা।
মন্ত্র উচ্ছারিত হয় —
সরস্বতী_মহাভাগে,
বিদ্যে_কমল_লোচনে_
বিশ্বরূপে_বিশালাক্ষী_
বিদ্যংদেহী_নমোহস্তুতে……..
এ মন্ত্রে, বিদ্যার দেবী মা সরস্বতীর পায়ে পুষ্পাঞ্জলি নিবেদন করি আমরা
পুষ্পাঞ্জলি’র পর চরণামৃত গ্রহণ করি সকল ভক্তগণ।
আমাদের বিশ্বাস– মা সরস্বতী খুশি হলে বিদ্যা ও বুদ্ধি অর্জিত হবে।
প্রাচীন কালে তান্ত্রিক সাধকেরা সরস্বতী-সদৃশ দেবী বাগেশ্বরীর পূজা করতেন।
ঊনবিংশ শতাব্দীতে পাঠশালায় প্রতি মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে ধোয়া চৌকির উপর তালপাতার তাড়ি ও দোয়াতকলম রেখে পূজা করার প্রথা ছিল।
শ্রীপঞ্চমী তিথিতে ছাত্ররা বাড়িতে বাংলা বা সংস্কৃত গ্রন্থ, শ্লেট, দোয়াত ও কলমে সরস্বতী পূজা করত।
সরস্বতী পূজা শেষে প্রসাদ বিতরণ, ধর্মীয় আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ও
সন্ধ্যা আরতির মধ্য দিয়ে
প্রতিটি মন্ডপে মায়ের পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়।
হে মা সরস্বতী! বিদ্যায় আলোয় আলোকিত করো মা গো।