ব্রাক্ষণবাড়িয়া।।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে জেলার নবীনগরে তিন শিশু ও সরাইলে এক ট্রলি চালকের মৃত্যু হয়েছে।নিহতরা হলেন, নবীনগর উপজেলার পরশামনি (৪), ইয়ামিন (৮), আদিব (৬) ও সরাইল উপজেলার ট্রলি চালক ইমরান মিয়া (২৪)। এ ঘটনায় আরো ১শিশু আহত হয়েছে।পুলিশ জানায়, শনিবার দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত নবীনগর উপজেলার নাটঘর ইউনিয়নের রসুলপুর, একই উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের ধরাভাঙা ও উপজেলার কাইতলা ইউনিয়নের ব্রাহ্মণহাতা নারুই উত্তরপাড়া পৃথক ভাবে এসব ঘটনা ঘটে।উপজেলার কাইতলা ইউনিয়নের ব্রাহ্মণহাতা নারুই উত্তরপাড়া এলাকায় রাস্তা উন্নয়নের কাজে ব্যবহৃত ট্রাকের নিচে পিষ্ট হয়ে আদিব নামে (৬) বছরের এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে৷ আদিব ওই এলাকার জজ মিয়া মেম্বারের নাতি। তার পিতার নাম শাহ্ আলম।এদিকে, উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের ধরাভাঙা গ্রামে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার চাপায় ইয়ামিন (৮) নামে এক শিশু শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। ওই এলাকার দানু মোল্লার বাড়ির সামনে সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।অপর দিকে, উপজেলার শেষ সীমানায় নাটঘর ইউনিয়নের নবীনগর- রসুলপুর সড়কে রাস্তা পারাপারের সময় অটো গাড়ির ধাক্কায় পরশামনি নামের ৪ বছরের এক শিশু নিহত হয়। পরশামনি নাটঘর ইউনিয়ন রসুলপুর গ্রামের আলামিন মিয়ার মেয়ে ও নিহত ইয়ামিন উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের ধরাভাঙা গ্রামের ওলিউল্লাহ মিয়ার ছেলে।
নবীনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নূরে আলম তিন শিশুর মৃত্যুর সতত্যা নিশ্চিত করে বলেন, প্রথমে আমরা দুইজনের মৃত্যুর খবর জানতে পারি। পরে উপজেলার রসুলপুরে আরও একজন শিশু সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে বলে জানতে পারি। সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।এছাড়াও, দুপুর ১টায় সরাইল উপজেলার কালীগচ্ছের বড্ডাপাড়ায় বালুবাহী ট্রাক্টর নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ট্রলি চালক ইমরানকে চাপা দিলে গুরুতর আহত হয়। তাকে আহতবস্থায় জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে তার মৃত্যু হয়। সে উপজেলার নিজ সরাইল গ্রামের শাহজাহান মিয়ার ছেলে। এ সময় আরো এক শিশু আহত হয়েছে। পরে শিশুটিকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।সদর হাসপাতালের চিকিৎসক সোলাইমান মিয়া ইমরান নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।সরাইল থানার ভারপ্রার্প্ত কর্মকর্তা নাজমুল হোসেন জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। কোন অভিযোগ না থাকায় পরিবারের নিকট লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।