
আখাউড়া।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার আখাউড়া উপজেলায় ভাটামাথায় শ্বশুর বাড়িতে এসে স্ত্রী-শাশুড়ীকে এসিড নিক্ষেপের পালিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে জামাইয়ের বিরুদ্ধে। আজ শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের ভাটামাথা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এসিডে ঝলসে আহত স্ত্রী-শাশুড়ীকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।এসিডে ঝলসে আহতরা হলেন, জেলার আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের ভাটামাথা গ্রামের কালিপদ পালের স্ত্রী পুতুল রাণী পাল ও তার মেয়ে চন্দনা পাল ।হাসপাতালে নিয়ে আসা অজিত পাল নামের এক ব্যক্তি জানান, পুতুল পাল আমার শাশুড়ী ও চন্দনা পাল আমার শ্যালিকা হন। গত প্রায় ১০ বছর আগে আমার শ্যালিকা চন্দনা পালকে ঢাকার তাতী বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী নিতাই পালের ছেলে আনন্দ পালের কাছে বিয়ে দেওয়া হয়।
তাদের পরিবারে একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। আনন্দ পাল জুয়াড়ি প্রকৃতির লোক ছিল। এনিয়ে তাদের মধ্যে কলহ চলে আসছিল। তিনি আরও বলেন, করোনার লকডাউনের মধ্যে আনন্দ পাল জুয়া খেলে অনেক টাকা ঋণি হয়ে যায়।এনিয়ে চন্দনা পাল ও আনন্দ পালের মধ্যে কলহ চরম আকার ধারণ করে। পরে চন্দনাকে আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসি। প্রায় এক বছর যাবত আমার শ্যালিকা চন্দনা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার ভাটামাথা গ্রামে বাবার বাড়িতে বসবাস করে আসছে। ইদানিং স্বামী আনন্দ পাল ফোনে ঢাকায় চলে যাওয়ার জন্য চন্দনাকে চাপ দিয়ে আসছিল। তিনি বলেন, শুক্রবার সকালে আনন্দ পাল ভাটামাথা গ্রামে চন্দনাদের বাড়িতে ব্যাগে কাপড় নিয়ে বেড়াতে আসেন। আসার পর চন্দনাকে ঢাকায় ফিরে যেতে চাপ দেয়। তখন চন্দনা জানায়, আনন্দ পাল ঋণ শেষ করার পর সে শ্বশুর বাড়ি ফিরে যাবে। এ নিয়ে আনন্দ পাল মারধোর করে চন্দনাকে, পরে তার কাপড়ের ব্যাগ থেকে বোতল দিয়ে আনা এসিড নিক্ষেপ করে চন্দনার উপর। এসময় চন্দনা চিৎকার করে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় তার মা পুতুল পাল আসলে, তার উপরও মেয়ের জামাই আনন্দ পাল এসিড নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। পরে তাদের দুইজনকে উদ্ধার করে এনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, আমরা এসিড নিক্ষেপ করা হয়েছে, এমন একটি তথ্য পেয়েছি। বিষয়টি জানতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।