
সরাইল।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে স্বাধীনতা দিবসে শহীদ মিনারে ফুল দিতে এসে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)র দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলা সদরে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ সহ উভয়পক্ষের অন্তত ১৫জন আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ছয়জনকে আটক করেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতীয় দিবসে শুক্রবার সকালে উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিতে আসে স সরাইল বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মাস্টার ও আক্তার হোসেনের নেতৃত্বাধীন পদ বঞ্চিত বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। এ সময় উপজেলা বিএনপির নবগঠিত আহবায়ক কমিটি নেতাকর্মীরা শহীদ মিনারে ফুল দিতে আসলে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মী কর্মীরা তাদের ধাওয়া করেন। দুই গ্রুপের মাঝে এ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। পরে দেশীয় অস্ত্র বল্লম-টেঁটা নিয়ে শহীদ মিনার এলাকায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তারা।এসময় পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করতে গেলে সংঘর্ষে লিপ্ত বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা করে। এ ঘটনায় পুলিশ সহ দু’গ্রুপের অন্তত ১৫জন আহত হয়েছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন।এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব এডভোকেট নুরুজ্জামান লস্কর তপু বলেন, আমরা পুলিশের সাথে কথা বলে তাদের দেওয়া সময়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ফুল নিয়ে শহীদ মিনারে প্রবেশ করবো, এমন সময় আনোয়ার হোসেন মাস্টারের লেলিয়ে দেয়া কিছু সন্ত্রাসী যুবদল নেতা মুন্না, ছাত্রদল নেতা জব্বার ও জামালের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলার চেষ্টা করে। এসময় আমাদের লোকজন তাদের প্রতিহত করতে গেলে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পুরো ঘটনা শহীদ মিনারে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা এবং সাংবাদিকগণরা দেখেছেন।বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন মাস্টার বলেন, আমি শহীদ মিনারে যাইনি। আগেই আমি সবাইকে জানিয়ে দিয়েছি; শহীদ মিনারে আমার না যাওয়ার বিষয়টি। মুন্নার বাড়ির কাছে শহীদ মিনার। মনে হয় তপুকে দেখে মুন্না উত্তেজিত হয়ে এমনটি করতে পারে। মুন্না আমার কথা শুনে না। আমি এই ঘটনার সাথে কোনো ভাবেই জড়িত নই।সরাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কবির হোসেন বলেন, এ ঘটনায় ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। থানার দ্বিতীয় কর্মকর্তা এসআই জাকির হোসেন খন্দকার ও এএসআই দিলীপ কুমার নাথ সহ বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।