
ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের তাণ্ডব, মিথ্যাচার এবং ওই ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরীকে জড়িয়ে হেফাজত নেতাদের কটূক্তির প্রতিবাদে এ সমাবেশ করা হয়।
লকডাউন ও সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা করে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়ন শাখা।শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রামরাইল ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। ২৬, ২৭ ও ২৮ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের তাণ্ডব, মিথ্যাচার এবং ওই ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরীকে জড়িয়ে হেফাজত নেতাদের কটূক্তির প্রতিবাদে এ সমাবেশ করা হয়।লকডাউনে সরকার গণজমায়েত নিষিদ্ধ করলেও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ক্ষমতাসীন দলটির অর্ধ শতাধিক নেতা-কর্মী। কয়েকজন ছাড়া অধিকাংশের মুখেই ছিল না মাস্ক। ছিল না সামাজিক দূরত্বের বালাইও।সমাবেশের আয়োজক ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাত খান জানান, সমাবেশের জন্য প্রশাসন থেকে কোনো অনুমোদন নেয়া হয়নি।
তবে ছোট পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১৫-২০ জন মিলে সমাবেশ করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খাঁন নিউজবাংলাকে জানান, প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধনের বিষয়ে তারা কিছু জানেন না। খোঁজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন।
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে সরকার চলতি মাসের ৫ এপ্রিল থেকে গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞাসহ নানা বিধিনিষেধ দিয়ে লকডাউন ঘোষণা করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আরও কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ ঘোষণা করা হয়। পরে তা এক সপ্তাহ বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়েছে।লকডাউনে ১১টি বিধিনিষেধ জারি করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে পুলিশ। ওই প্রজ্ঞাপনে সভা, সেমিনার, প্রশিক্ষণ কর্মশালায় জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।সেই বিষয়টি উপেক্ষা করেই ক্ষমতাসীন দলের নেতকর্মীরা এ প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেন।ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে জানা গেছে, জেলায় এখনও পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে তিন হাজার ৪৭৯ জনের। আর মৃত্যু হয়েছে ৫২ জনের।