
বিজয়নগর।।
বিজয়নগরের হরষপুরে মাত্র ৪৫০ টাকার জন্য হাতের আঙুল হারাতে হলো রিনা বেগমের। ইউনিয়ন পরিষদের দরজার ফাঁকে রিনা হাত আটকে যাওয়ার পর হরষপুর গ্রামের চৌকিদার আব্দুল্লাহ দরজা বন্ধ করে দেয়। এতে করে তার ডান হাতের একটি আঙুল কাটা পড়ে। বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি ক্লিনিকে ভর্তি আছেন রিনা। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে এই ঘটনা ঘটে। রিনা ওই ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।রিনার স্বজনরা জানান, গত ছয় থেকে সাত মাস আগে রিনার সঙ্গে তার স্বামী ফজল মিয়ার ছাড়াছাড়ি হয়। এরপর থেকে রিনা তার স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়িতে বসবাস করছেন। রিনার বাবা মারা যাওয়ার পর তার ভাই জসিম মিয়া সংসারের হাল ধরেন। রিনা ও তার মেয়ের ভরন পোষণও জসিমই দেয়। অসহায় ও দুস্থদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর অর্থ সহায়তার ৪৫০ টাকা আনতে বৃহস্পতিবার দুপুরে হরষপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে যান রিনা টাকা নেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়ানোর পর রিনাকে পেছন দিক থেকে একজন ধাক্কা দিলে তিনি ইউনিয়ন পরিষদের দরজায় গিয়ে ধাক্কা খান। এ সময় রিনার ডান হাত দরজার ফাঁকে আটকে যায়। তখন দরজায় থাকা চৌকিদার মনে করেন রিনা জোর করে ভেতরে ঢুকে পড়ছেন। এ সময় চৌকিদার রিনার হাত আটকে থাকা অবস্থাতেই দরজা বন্ধ করে দেন। এতে রিনার হাতের একটি আঙুল পুরোপুরি এবং আরেকটি আংশিক কাটা পড়ে। পরে রিনার স্বজনরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।আহত রিনা বলেন, আমি চৌকিদারকে অনেক মিনতি করে বলেছি- ভাই আমার হাত আটকে গেছে, দরজাটা খোলেন। কিন্তু তিনি আমার কথা শোনেননি। পরে আমার কাটা আঙুল ঢিল মেরে ছুড়ে ফেলে দেন তিনি।এদিকে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব খোরশেদ আলম মানুষের সাথে দুর্ব্যবহার করেছেন বলে ভুক্তভোগীরা,অভিযোগ করেন। এই সচিব ২০১৭ সালে হরষপুর ইউনিয়নের যোগদান করার পর থেকে আদ্যাবদি কর্মরত আছেন তিনি দীর্ঘদিন একই কর্মস্হলে থাকায় মানুষের সাথে দুর্ব্যবহার করতে দ্বিধাবোধ করেন না।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হরষপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান সারওয়ার আলম ভূইয়ার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব খোরশেদ আলমের সাথে মোবাইল যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমি শুনেছি হরষপুর গ্রামের আব্দুল্লাহ চৌকিদার দরজা লাগাতে গিয়েএক মহিলার আঙ্গুল কাটা গেছে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে স্হানীয় মেম্বারকে বলেছি।
এব্যাপারে খুজখবর নিতে বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও’র সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার জন্য কয়েকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।তিনি এমনই ফোন রিসিভ করেন না। উপজেলার ভুক্তভোগী লোকজন ইউএনও’কে ফোনে পাননি বলে এমন অভিযোগ রয়েছে।