আমরা সময়ের কথা সময়ে বলি।

Advertisement

নাসিরনগরে মৃত ব্যক্তিকে জীবিত বানিয়ে জমি লিখে নেয়ার অভিযোগ

নাছিরনগর 2 June 2021 ৩৮৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।

মৃত ব্যক্তিকে জীবিত বানিয়ে জমি লিখে নেয়ার অভিযোগদলিল লেখক নুরুল হক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে নুরুল হক নামে এক দলিল লেখকের বিরুদ্ধে ১৮ বছর আগে মৃত ব্যক্তিকে জীবিত দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে জমি লিখে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।এ ঘটনায় গত ৩০ মে উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন সুবীর দেব নামের এক ব্যক্তি। জেলা রেজিস্ট্রার, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) অভিযোগপত্রের অনুলিপি পাঠানো হয়েছে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, নাসিরনগর উপজেলার নাসিরনগর ইউনিয়নের মৃত প্রসন্ন দের দুই ছেলে প্রহল্লাদ দে ও মন্টু দে। প্রহল্লাদ দে প্রায় ১৮-১৯ বছর আগে নিঃসন্তান অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তার ছোট ভাই মন্টুু দেও আনুমানিক ১৬-১৭ বছর আগে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত দুই ভাইয়ের কোনো সন্তান না থাকায় তাদের সম্পদের উত্তরাধিকার নিকটতম ওয়ারিশরা।
তাদের সম্পদের ওয়ারিশরা নাসিরনগর ৭ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা। তাদেরকে না জানিয়ে চলতি বছরের ১৫ মার্চ এক ব্যক্তিকে মারা যাওয়া প্রহল্লাদ দে বানিয়ে মোহাম্মদ উজ্জ্বল মিয়া নামে অপর ব্যক্তির কাছে দলিল বানিয়ে দেন দলিল লেখক নুরুল হক (সনদ নম্বর ৭০)। দলিলকৃত জায়গা নাসিরনগর মৌজার জে এল নং- সাবেক ৭৪, হালে ৪৮, খতিয়ান নং সাবেক ৭২৮, বি,এস ২৪৬৯, সাবেক দাগ ১৫৮৯, বি.এস বাট্টা দাগে আড়াই শতক নাল ভূমি। এই কাজটি করতে ভুেয়া জাতীয় পরিচয়পত্র বানিয়ে মৃত ব্যক্তিকে জীবিত দেখানো হয়। এতে বয়স দেয়া হয়েছে ৩৯ বছর। ভুয়া দলিলের লিখিত সাক্ষী করা হয়েছে বিমল বিহারী চৌধুরী ও মো. সাত্তার মিয়া নামের দুই ব্যক্তিকে।
নাসিরনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবুল কাশেম জানান, ‘প্রহল্লাদ দে মারা গেছেন আরও ১৮-১৯ বছর আগে। আমরা তার মৃত্যুর সনদ প্রদান করেছি।’অভিযুক্ত নুরুল হক বলেন, ‘আমি তো সম্পদের দলিল পেয়ে লিখেছি। আমি মৃত ব্যক্তির দলিল করিনি, জীবিত ব্যক্তির দলিল করেছি। স্যার (সাব-রেজিস্ট্রার) তো জবানবন্দি নিয়ে দলিল করেছেন। দাতা দলিল নিয়ে গেছে। বিষয়টি নিয়ে সাব-রেজিস্ট্রারের সামনে আমরা আলোচনায় বসতেছি।’এ বিষয়ে নাসিরনগর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার মিজারুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
জেলা রেজিস্ট্রার সরকার লুৎফুল কবির জানান, ‘এ সংক্রান্ত আবেদন আমার হাতে এখনো আসেনি। মৃত ব্যক্তিকে দিয়ে দলিল কীভাবে করেছে তা বুঝে আসছে না। সাব-রেজিস্ট্রার না জানলেও দলিল লেখকের জানার কথা, তিনি আসল ব্যক্তি কি-না। এখন দেখবো কোন প্রেক্ষাপটে দলিল সম্পাদন করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি দলিল লেখক দোষী সাব্যস্ত হয়, তাহলে তার লাইসেন্স বাতিল করা হবে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলা হবে।