
ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পশ্চিম পাইকপাড়া বোর্ডিং মাঠ এলাকার একটি বাসার বাথরুম থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্বার করে পুলিশ।জানা গেছে,সোমবার (২১ জুন) দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে শহরের পশ্চিম পাইকপাড়া বোর্ডিং মাঠ এলাকার তিনতলা বাসা থেকে রাহিমা (১২) নামের এক গৃহকর্মীর মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।রাহিমা সিলেট জেলার মৃত গোলাপ রব্বানীর মেয়ে। সে সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের ভাটপাড়ায় মায়ের সঙ্গে নানার বাড়িতে বসবাস করত। সে শহরের পাইকপাড়ার রওশন আলীর বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করত।রাহিমার পরিবারের সদস্যরা জানায়, অভাব-অনটনের কারণে রাহিমাকে শহরের পাইকপাড়ার রওশন আলীর বাসায় কাজে পাঠান তার মা। বছরে দুই বার করে রাহিমা বাড়িতে আসলেও গত ৬ মাসে তাকে বাড়িতে আসতে দেয়নি রওশন আলীর স্ত্রী।তারা আরও জানান, প্রায়ই রাহিমাকে তিনি তুচ্ছ বিষয় নিয়ে মারধর করতেন। কয়েকদিন আগে রাহিমাকে মারধর করায় সে রাগ করে নানির বাড়িতে মায়ের কাছে চলে যায়। পরে রওশন আলী গিয়ে আবার রাহিমাকে নিয়ে আসেন। এরপর সোমবার (২১) রাতে তাদের কাছে খবর আসে রাহিমা নাকি বাথরুমে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে।রাহিমার মা বলেন, ‘বাসার মালিক রওশন আলীর স্ত্রী রাহিমাকে প্রায়ই মারধর করতেন। মারধর করে বলে রাহিমাকে আমি বাড়িতে নিয়ে আসব বলে বাসার মালিক রওশন আলীকে জানিয়েছি। এ কারণে রাহিমাকে খুন করে মরদেহ ফাঁস দিয়ে ঝুলে রেখেছে।’এলাকাবাসীর দাবি, রাহিমার সঙ্গে যাই হোক না কেন, তার সঠিক তদন্ত হওয়া দরকার। তা না হলে এ রকম অনেক রাহিমাকে প্রভাবশালীদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে অকালে প্রাণ দিতে হবে।ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এমরানুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘রাতে মরদেহটি উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর বোঝা যাবে এটি হত্যা না-কি আত্মহত্যা।