
আখাউড়া।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার নোয়াগাঁও বাজারে গত চার বছর ধরে ব্যাংক এশিয়ার একটি এজেন্ট ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন সাদেক মিয়া। কাষ্টমার সার্ভিস অফিসার এনামুল হক ও তার বিশ্বস্ত মটরসাইকেল চালক হাবিবকে দিয়েই ব্যাংক থেকে টাকা আনা-নেওয়া করতেন। এই বিশ্বাসের সুযোগ নিয়েই হাবিব ফন্দি আঁটতে থাকে কিভাবে টাকা ছিনতাই করা যায়।এরই মাঝে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা শুরু করে সে। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হাবিব সাথে নেয় নিজ গ্রামের ঘনিষ্ট বন্ধু বেকার যুবক সাইফুল ইসলামকে। এসময় হাবিব তাকে শর্ত দেয় ছিনতাইয়ের অর্ধেক টাকা তাকে দিতে হবে। টাকার লোভে পড়ে সাইফুল যোগাযোগ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শহরের জম্মুনের সাথে।গত ২০ জুন হাবিবের মটরসাইকেলে চড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে টাকা আনতে যায় এনামুল। এই খবর আগেই হাবিব ফোনে সাইফুলসহ অন্যান্য ছিনতাইকারীদের জানিয়ে দেয়। খবর পেয়ে জুম্মানসহ আরো ছয়জন মটরসাইকেলযোগে আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের রুটি গ্রামের একটি ব্রিজের পাশে আগেই অবস্থান নেয়।এনামুল টাকা নিয়ে নবীনগর ফেরার পথে তারা টাকা লুন্ঠন করে নেয়।
পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২২ জুন) এজেন্ট ব্যাংকের কর্ণধার সাদেক মিয়া থানায় অভিযোগ দেয়। অভিযোগ পাওয়ার পর পরই পুলিশ লুটের টাকাসহ ছিনতাইকারিদের ধরতে মাঠে নামে। এসময় পুলিশ মটর সাইকেল চালক হাবিবকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তার কথাবার্তা সন্দেহজনক মনে হলে পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সে ছিনতাই ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে। তার দেয়া তথ্য মতে পুলিশ ভোররাতে নাড়ুই গ্রামের নিজবাড়ি থেকে সাইফুল ইসলামকে আটক করে।পরে উভয়ের দেয়া তথ্য মতে নাড়ুই গ্রামের একটি ব্রিজের নিজ থেকে ছয় লাখ ৪৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এর আগে জুম্মনের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাসায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ ছয় লাখ টাকা উদ্ধার করে।
পুলিশ আরো জানায়, আটক সাইফুল জেলার নবীনগর উপজেলার নাড়ুই নোয়াগাঁও গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে ও হাবিব একই গ্রামের জিয়াউর রহমানের ছেলে। সে পেশায় মটরসাইকেল মেকানিক।আটককৃতদের বুধবার দুপুরে মামলাসহ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।ধরখার ফাঁড়ি থানার ইনচার্জ বিমল কর্মকার জানান, আটককৃতদের মামলাসহ আদালতে সপোর্দ করা হলে তারা উভয়ই ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। তিনি আরো জানান, বাকি টাকা উদ্ধার করতে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।