
ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।
আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে বিজয়নগর ইউএনও’র বিরুদ্ধে ক্ষোভ ঝারলেন আওয়ামীলীগের নেতারা।জানা যায়, গত ২৩ জুন সকালে বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী আলোচনা সভায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এডঃ তানবীর ভূইয়ার পরিচালনায় উপস্হিত নেতারা বক্তব্য দেওয়ার সময় তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়াছির আরাফাত এর উপর ক্ষোভ জারেন।তারা বলেন বিজয়নগরে একমাত্র এই ইউএনও সাধারন লোকজন অফিসে আসলে কোন কথাই শুনতে চান না। তিনি আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের সাথেও তুচ্ছ তাচ্ছিল্য ব্যবহার করে থাকেন।একজন ইউএনও’র এমন আচরন কি করে মেনে নেওয়া যায়।বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার ক্ষমতায় থাকার পরও আওয়ামীলীগের নেতাদের সাথে কি করে সরকারের একজন কর্মচারী এ ধরনের আচরন করেন তাকে অবিলম্বে বিজয়নগর থেকে প্রত্যাহারের দাবী জানান।উপজেলার আওয়ামীলীগের যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর মৃধা ইউএনও’র বিরুদ্ধে প্রায় ৩৬ মিনিট বক্তব্য দেন তার বক্তব্যে উপস্হিত নেতারা একমত পোষন করেন এবং এব্যাপারে সংসদ সদস্যের সাথে আলোচনা করবেন উপস্হিত সকলকে আশস্ত করেন নেতৃবৃন্দরা। জাহাঙ্গীর মৃধা বক্তব্য কালে বলেন ইউএনও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দাবীকরে সকলের খারাপ আচরন করেন। এই উপজেলায় একমাত্র এই ইউএনও’র যোগদানের পর থেকেই আমাদেরকে মুল্যায়ন করা হয়নি।এব্যাপারে ১৪ দলীয় জোটের শরীক দল বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির আহবায়ক প্রবীর চৌধূরী রিপনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, বিজয়নগরের ইউএনও সকলের সাথেই দুর্ব্যবহার করেন।আমরা তাকে প্রত্যাহারের দাবী জানাই।যদি তিনি মনে করেন এই উপজেলা তাহার পৈত্রিক সম্পদ যখন যা খুশি করবেন এটা ভুল।একজন ইউএনও’র আচরন স্বাভাবিক হওয়া উচিত।তিনি এই উপজেলাতে আসার পর থেকেই জামত-বিএনপির বেশির ভাগ লোক সুযোগ সুবিধা ভোগ করেন বলে দাবী বাসদ নেতার।আসলেই কি তিনি কোন দলকে সমর্থন তা তিনি নিজেই জানেন।তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের দাবীকরে বাসদের এ নেতা। এ বিষয়ে বিজয়নগর ইউএনও’র সাথে কয়েক বার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তাকে পাওয়া যায়নি।