
বিজয়নগর।।
বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেতে ৭ম শ্রেণীতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্রী ও তার বাবার। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার বিজয়নগরের ইউএনও বরাবর লিখিত আবেদন করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এর কাছে লিখিত আবেদন ও সাংবাদিকদের কাছে এমন কথাই বলেছেন সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী।ওই ছাত্রীর বাবাও লিখিত আবেদন করেছেন।
লিখিত আবেদন ও ওই মেয়েটির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের সেজামুড়া গ্রামের বাসিন্দা ও মুকুন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রীর বাবা প্রবাসে থাকেন। তাদের পরিবারের দায়িত্ব দাদা ও চাচাদের উপর। সম্প্রতি ওই ছাত্রীর বিয়ে দিতে উঠে পড়ে লাগেন তার দাদা ও চাচারা। অথচ জন্ম তারিখ অনুযায়ি তার বয়স প্রায় ১৩ বছর। এ অবস্থায় দেশে আসা তার বাবা এতে প্রতিবাদ করলে ওনার উপর হামলাও করা হয়। উপায়ন্তু না দেখে ওই স্কুলছাত্রীর বাবা ও ছাত্রী নিজেই বৃহস্পতিবার বিজয়নগরের ইউএনও বরাবর লিখিত আবেদন করেন।ওই ছাত্রী আরো বলেন ‘লোভের বশবর্তী হয়ে তারা আমাকে বিয়ে দিতে চাইছে। আমাকে বিয়ে দিতে রাজি নয় বলে তারা আমার বাবাকে মারধর করেছে। আমাকে বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা করুন।’
বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কে এম ইয়াসির আরাফাত বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষার পাওয়ার আবেদনের সত্যতা স্বীকার করেছেন। সাংবাদিকদেরকে তিনি জানান, তদন্ত করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।