
সরাইল।।
সরাইলে ডিবি পরিচয় দিয়ে অপহরণ চেষ্টাকালে ৭ যুবককে আটক করে গ্রামবাসী। এ ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার করে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার শাহবাজপুর রাজাবাড়িয়াকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। আজ শুক্রবার তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন। মামলার ৩ নম্বর আসামী শেকুলের স্ত্রী রেহেনা আক্তার (৩২) বাদী হয়ে একটি চুরির মামলা করেছেন।পুলিশ, মামলা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিজয়নগর উপজেলার আবদুল্লাহপুর গ্রামের হোসাইন আহমেদের ছেলে মোস্তফা আহমেদ ফয়সাল (৩৮)। অপহরণ চুরি ছিনতাই ও ডাকাতিই তার মূল পেশা। তার বিরূদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় রয়েছে ৪ ডজন মামলা। গত ১৫ জুলাই একই উপজেলার গাজীপুর গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে শেকুল মিয়ার (৩৮) ১ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের একটি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চুরি করে ফয়সাল।ওই অটো রিকশাটি ফয়সাল ৬৫ হাজার টাকায় বিক্রয় করে শাহবাজপুর রাজাবাড়িয়াকান্দির লুদু মিয়ার ছেলে নাজির মিয়া ও নাছির মিয়ার কাছে। কাগজ করার সময় চতুরতার আশ্রয় নেয় প্রতারক ফয়সাল। হোসেন মিয়ার ছেলে আরমান মিয়ার মাধ্যমে অটোরিকশাটি এফিডেভিট করে দেন। এফিডেভিটসহ বিক্রয়ের সময়ের সকল কর্মকান্ড ভিডিও করে রাখে ফয়সাল। গত ২১ জুলাই বুধবার গভীর রাতে ফয়সালের নেতৃত্বে প্রাইভেটকার ও মটর বাইকে করে ৭ যুবক আসে নাজিরের বাড়ি রাজাবাড়িয়াকান্দি গ্রামে।তারা নিজেদেরকে ডিবি অফিসার পরিচয় দিয়ে চুরি হওয়া ওই অটোরিকশাটি দিয়ে দিতে বলেন। নতুবা নাজির নাছির সহ বাড়ির লোকজনকে অপহরণ করার হুমকি দেয়। আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েন ওই পরিবারের সকল সদস্যরা। কৌশল করেন নাছির। অটোরিকশাটি এনে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে নাছির তার আত্মীয় স্বজনকে মুঠোফোনে সব জানিয়ে দেন।স্বজনসহ গ্রামবাসী এসে তাদেরকে চারিদিকে ঘিরে ফেলে। পরে তাদেরকে ঘরে আটকে রেখে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ তাদেরকে থানায় নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার রাতেই তাদের বিরূদ্ধে অপহরণ মামলা হওয়ার পর গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মোস্তফা আহমেদ ফয়সাল (৩৮), সালমান (২৮), শেকুল মিয়া (৩৮), মো. শাহাব উদ্দিন (২০), আশিকুর রহমান (৩১), শাহ নেওয়াজ খান মিলন (৩১) ও আশকর আলী (৪৫)।ওদিকে অটোরিকশাটির মূল মালিক শেকুল মিয়ার স্ত্রী রেহেনা বেগম বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টা ১৫ মিনিটে ফয়সালকে প্রধান আসামী করে একটি চুরির মামলা করেছেন। মামলার অন্য আসামীরা হলো- নাজির মিয়া ও নাছির মিয়া।