আমরা সময়ের কথা সময়ে বলি।

Advertisement

আখাউড়ায় ছিনতায় হওয়া মোবাইলের মাধ্যমে হত্যার রহস্য উদঘাটন

আখাউড়া 4 March 2022 ১৮৬

আখাউড়া।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় হত্যাকাণ্ডের শিকার অটোরিক্সা চালক নাজিরুল ইসলাম (৩৭) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। ছিনতায় হওয়া মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই পুলিশ হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করে। ছিনতায়ের উদ্দেশ্যই এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়।বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আমলি আদালত-৩ এর ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাকিবুল হাসান রকি এ জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জুলহাস ও মো. হানিফ নামের দুজনকে পুলিশ আটক করতে সক্ষম হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে আরও একজন জড়িত বলে পুলিশ নিশ্চিত হতে পেরেছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশের হাতে আটক জুলহাস ওরফে শাহীন (৩৮) নামের এক ঘাতক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে ৷ মো. নাজিরুল ইসলাম নামে ব্যাটারিচালিত এক অটোরিক্সা চালককে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হত্যা করা হয়। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের সেন্দ গ্রামের আবু সালেকের ছেলে। তিনি আখাউড়া পৌর এলাকার দূর্গাপুরে ভাড়া বাসায় থাকতেন। ঘটনার দিন রাত দেড়টায় পৌর এলাকার মসজিদ পাড়া বাইপাস থেকে তার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মিজানুর রহমান জানান, পৌর এলাকার সড়ক বাজার থেকে খড়মপুর যাওয়ার জন্য নাজিরুলের অটোরিক্সাটি ভাড়া করা হয়। পথিমধ্যে টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনতায় করে চালক নাজিরুলকে হত্যা করে তিনজন।এর মধ্যে দেবগ্রামের মালু মিয়ার ছেলে মো. হানিফের কাছে নাজিরুলের ব্যবহারিত মোবাইল ফোনটি ছিল। এই ফোনের মাধ্যমেই পুলিশ তাকে আটক করে। হানিফের স্বীকারোক্তি মতে হবিগঞ্জের আনোয়ারপুর এলাকার বর্তমানে আখাউড়া লাল বাজার এলাকার বাসিন্দা জুলহাসকে আটক করা হয়।