আমরা সময়ের কথা সময়ে বলি।

Advertisement

বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা যেভাবে ছড়িয়ে যায় সারা দেশে

বিশেষ প্রতিবেদন, রাজনীতি, সারাদেশ 26 March 2022 ২০৬

রিপন চৌধূরী।।

২৫ মার্চ রাতে নিরস্ত্র জনতার ওপর অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে পাকিস্তানি সামরিক জান্তারা। এরপরেই ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে অয়্যারলেসের বিশেষ ফ্রিকোয়েন্সিতে বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠে ঘোষণা আসে বাংলাদেশের স্বাধীনতার। বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘ফ্রম টুডে বাংলাদেশ ইজ ইনডিপেন্ডেন্ট।’ চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটের সলিমপুরের অয়্যারলেস সেন্টারসহ বন্দরে থাকা কিছু বিদেশি জাহাজের অয়্যালেসে পৌঁছে যায় সেই বার্তা। এসব জাহাজের প্রতিনিধিরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার বার্তাটি পৌঁছে দেন। একই সঙ্গে এই বার্তা সম্প্রচারের পরপর রাতেই তা ধরা পড়ে পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের অয়্যারলেসেও। এরপর তারা গ্রেফতার করে বঙ্গবন্ধুকে। কিন্তু ভোর হতে হতেই বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণাটি সাইকোপ্লাস্ট করে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে দেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। ২৬ মার্চ দুপুরের পর কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র হতে বঙ্গবন্ধুর পক্ষ থেকে তার স্বাধীনতার বার্তাটি পাঠ করেন তৎকালীন চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ নেতা এমএ হান্নান। এরপর ২৭ মার্চ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে মেজর রফিককে দিয়ে এই ঘোষণা পাঠ করাতে চান স্থানীয়রা। কিন্তু তিনি রণাঙ্গণে ব্যস্ত থাকায়, তার পরবর্তে মেজর জিয়াকে বোয়ালখালি থেকে ডেকে এনে ২৭ মার্চ সন্ধ্যায় এই ঘোষণা পাঠ করার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ নেতারা। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মেজর জিয়া বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার বার্তাটি পাঠ করেন। এরমধ্যেও বিভিন্ন জায়গা থেকে নিজ-উদ্যোগে আরো অনেকে বঙ্গবন্ধুর প্রেরিত স্বাধীনতার ঘোষণার বার্তা পাঠ করেছেন। এভাবেই সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে স্বাধীনতার ঘোষণা।