
আশুগঞ্জ।।
ফেসবুক স্ট্যাটাসের জেরে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জেলা ছাত্রলীগের এক কর্মীকে পেটানোর অভিযোগ। শনিবার (৯ জুলাই) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার যাত্রাপুর বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আহত ওই ছাত্রলীগ কর্মীর নাম নাদিম মিয়া (২৫)। তিনি মুজিবুর রহমানের ছেলে। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি।
নাদিম মিয়া অভিযোগ করে বলেন, এক ছাত্রলীগের কর্মী ফেসবুকে একটি শুভেচ্ছা পোস্টার শেয়ার করেন। ওই পোস্টারের ওপরে বড় করে দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতার ছবি। নিচে ছোট করে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকারের ছবি দেন। এর পাশে দেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিপক্ষে নির্বাচন করে জয়লাভ করা বিদ্রোহী প্রার্থী যাত্রাপুর ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলামের ছবি।
তিনি আরও বলেন, জ্যেষ্ঠ নেতাদের প্রটোকল না দিয়ে এবং দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন করা বিদ্রোহী চেয়ারম্যানের ছবি দেওয়ায় আমি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে এর প্রতিবাদ করি। এরই জেরে বাড়ি যাওয়ার সময় মোটরসাইকেল আটকিয়ে আমার ওপর হামলা করেন ইউপি চেয়ারম্যান। আমি প্রাণ বাঁচিয়ে বাড়িতে আসি। এরপর চেয়ারম্যান আবার আমার বাড়িতে হামলা করেন। এসময় আমার মাকে মারধর করে আহত করা হয়। তার একটি আঙ্গুল ভেঙে গেছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন বলেন, ছাত্রলীগের সদস্যের ওপর চেয়ারম্যানের হামলার ঘটনা জানতে পেরেছি। বিষয়টি অত্যন্ত ন্যক্কারজনক।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
আশুগঞ্জ থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন কুমার পাল বলেন, ছাত্রলীগের এক ছেলেকে মারধর করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তার মা নাকি আহত হয়েছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।