
কসবা।।
কসবায় ইভিএমের কম্পিউটারসহ কিছু যন্ত্রপাতি চুরি হওয়া উদ্বার করেছে কসবা থানা পুলিশ।এর সাথে জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।আজ বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।বিষয়টি নিশ্চিত করেন কসবা থানার ওসি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।
গ্রেফতার ব্যক্তিদের হেফাজত থেকে ৩০টি ওয়ালটন মনিটর, দুটি মনিটরের ব্যাটারি, চারটি কন্ট্রোল ইউনিটের ব্যাটারি উদ্ধার করা হয়।গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- কসবা উপজেলা নির্বাচন অফিসের অফিস সহকারী, একই উপজেলার মূলগ্রামের বাসিন্দা আব্দুল আউয়ালের ছেলে মোহাম্মদ আলী (৪৩), কসবার বগাবাড়ি গ্রামের আলী আজমের ছেলে মাহফুজুর রহমান (৩৪), একই উপজেলার ধজনগর গ্রামের মোখলেসুর রহমানের ছেলে পিয়াস উদ্দিন শিমুল (১৫) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের ফুল মিয়ার ছেলে মো. মাসুদ (২৩)।ওসি মহিউদ্দিন জানান, বিগত কসবা পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শেষে উপজেলা অডিটোরিয়ামের হলরুমে ইভিএমের কম্পিউটারসহ কিছু যন্ত্রপাতি রাখা হয়। সেখান থেকে ৩৯টি মনিটর ও ব্যাটারিসহ কিছু যন্ত্রাংশ চুরি হয়। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বাদী হয়ে গত ২৩ জুলাই একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ৩৯টি মনিটর, ১০টি মনিটরের ব্যাটারি ও ১০টি কন্ট্রোল ইউনিটের ব্যাটারি চুরি হয়।পরে ওই মামলার সূত্র ধরেই অনুসন্ধানে নামে পুলিশ। কসবা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার কামরুল ইসলাম, থানার ওসি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ইমরান হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ কসবা থানাধীন ইমাম পাড়ার এমএফ কম্পিউটার সেন্টারে অভিযান চালিয়ে প্রথমে মাহফুজ রহমানকে ১৭টি ওয়ালটন মনিটর, দুটি মনিটরের ব্যাটারি ও দুটি কন্ট্রোল ইউনিটের ব্যাটারিসহ আটক করে। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে মাহফুজের নিজ বাড়ি থেকে আরও ১৩টি ওয়ালটন মনিটর ও দুটি কন্ট্রোল ইউনিটের ব্যাটারি উদ্ধার করা হয়। এরপর তার কাছ থেকে জানতে পেরে পুলিশ মনিটর ও ব্যাটারি সরবরাহকারী কিশোর পিয়াস উদ্দিন শিমুলকে (১৫) আটক করে। পরে শিমুলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার সহযোগী মাসুদকে আটকের পর জানা যায়, উপজেলা পরিষদ পুরাতন মিলনায়তন থেকে নির্বাচন অফিসের একজন কর্মচারী এসব মালামাল চুরি করে তাদের কাছে পৌঁছে দিলে তারা এসব সামগ্রী ইমাম পাড়া এফএম কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারের স্বত্বাধিকারী মাহফুজুর রহমানের কাছে বিক্রি করেন। পরে নির্বাচন অফিসের অফিস সহকারী মোহাম্মদ আলীকে (৪৩) গ্রেফতার করা হয়।