আমরা সময়ের কথা সময়ে বলি।

Advertisement

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে মতবিনিময় সভায় বক্তারা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, সারাদেশ 29 November 2022 ১২০

ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর সহযোগিতায় অ্যাকটিভ সিটিজেন গ্রুপের আয়োজনে আজ মঙ্গলবার সকালে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।হাসপাতালের ডাঃ মিলন সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন হাসপাতালের তত্বাবধায়ক মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান। সনাক, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, সনাক সদস্য মোহাম্মদ আরজু, হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) মোঃ ফায়জুর রহমান, আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) মোঃ সুমন ভূঁইয়া, টিআইবি’র এরিয়া কো-অর্ডিনেটর আবুল কালাম আজাদ, সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল বাবু, নোঙর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি শামীম আহমেদ, সাংবাদিক আশিক মান্নান হিমেল প্রমুখ।মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসকের কক্ষ থেকে বের হলেই ওষুধ কোম্পানীর বিক্রয় প্রতিনিধিরা ব্যবস্থাপত্রের (প্রেসক্রিপশন) ছবি তুলে । এতে রোগীদের গোপনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ সময় এক চিকিৎসকও জানান, তার স্ত্রী এমন বিড়ম্বনার মধ্যে পড়েছিলেন। এছাড়াও বক্তারা বলেন, হাসপাতালে দালাল চক্র সক্রিয়। জরুরি বিভাগে চিকিৎসক স্বল্পতার কারণে সেবা কাজ ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া অপর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহসহ নানা ধরণের অভিযোগ করা হয় ওই মত বিনিময় সভায়। এসব সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আহবান জানানো হয়।
মতবিনিময় সভায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দাবি করে, হাসপাতালে সেবার মান অনেক বেড়েছে। প্রতিদিন এই হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে প্রায় তিন হাজার রোগী চিকিৎসা সেবা নেয়। আগে প্রতি মাসে ১০-১২ লাখ টাকা আয় হলেও গত কয়েকমাস ধরে আয় ২৪ লাখ টাকার নিচে হয় না। দালালসহ অন্যাসন্য অপরাধীদের ঠেকাতে নিয়মিত পুলিশ পাহারা বসানো হয়েছে। চতুর্থ শ্রেণির ৯১ জন কর্মচারির চাহিদা দেওয়া হলে অন্তত ৭১ জন নিয়োগের বিষয়টি চুড়ান্ত পর্যায়ে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান বলেন ব্যবস্থাপত্রের ছবি তোলার ‘বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিদেরকে সপ্তাহে একদিন এক ঘন্টার জন্য আসতে নির্দেশনা দেয়া আছে। ব্যবস্থাপত্রের ছবি তুলতেও নিষেধ করা আছে। বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনে তাদের সাথে আবার বসে কথা বলা হবে।