আমরা সময়ের কথা সময়ে বলি।

Advertisement

১৭ বছর আগে নৃশংসভাবে কসবার শাকিল হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেফতার

কসবা 20 January 2023 ১১৪

কসবা।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার শাকিল (১৪)কে নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডের ১৭ বছর পর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. শওকত আলীকে (৩৪) গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-২। শাকিল নামে এক শিশুকে গলা ও পায়ের রগ কেটে হত্যা করার অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় শওকতকে। আজ শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) র‌্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র এএসপি মো. ফজলুল হক এসব তথ্য জানান।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সিনিয়র এএসপি মো. ফজলুল হক জানান, ২০০৬ সালের ১ অক্টোবর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার আড়াইবাড়ি এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শওকত আলীসহ অন্যান্য আসামিরা মিলে সপ্তম শ্রেণির ছাত্র আতিকুর রহমান শাকিলকে (১৪) মারধর করেন। শাকিলের মা এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে তারা ক্ষিপ্ত হন। এ সময় তারা শাকিলের রক্ত দিয়ে গোসল করার হুমকি দেন। এর জের ধরে ১৫ অক্টোবর রাতে শাকিল তারাবির নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে যাওয়ার পথে শওকতসহ অন্যান্য আসামিরা তাকে অপহরণ করেন। এরপর তারা শাকিলকে পাশের ধান ক্ষেতে নিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন। মৃত্যু নিশ্চিত করতে শাকিলের পায়ের রগ কেটে দেন আসামিরা। এ ঘটনায় কসবা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা ১১ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বহুল আলোচিত, স্পর্শকাতর ও চাঞ্চল্যকর অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জেলা আদালতে বিচারের পরিবর্তে চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুন্যালে মামলাটি বিচারের জন্য পাঠানো হয়।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুন্যাল দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে ২০০৯ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ১১ জন আসামির মধ্যে একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। তাদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত একজন ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ৬ আসামি এখনো পলাতক।সিনিয়র এএসপি মো. ফজলুল হক আরও বলেন, গ্রেফতার শওকত আলী যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার পর থেকে পলাতক ছিলেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার শওকত জানান, হত্যাকাণ্ডের পর থেকে তিনি রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিজের নাম পরিবর্তন করে অবস্থান করছিলেন। প্রথমে ঢাকায় একটি লন্ড্রিশপে এবং পরে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন কাজ করে আত্মগোপনে ছিলেন। সবশেষ চাঁদপুরে একটি বেকারি পণ্যের প্রতিষ্ঠানের সেলসম্যান হিসেবে কাজ করতেন শওকত।