ব্রাহ্মণবাড়িয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রেজাউল করিমের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ : ১:৪৩ অপরাহ্ণ ১০৮

ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রথম সংবাদপত্র সাপ্তাহিক তিতাস এর সম্পাদক ও লেখক রেজাউল করিমের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে।আজ বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের উদ্দ্যেগে এক স্মরণ সভা ও মিলাদ মাহফিল রিপোর্টার্স ক্লাবের হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়।এসময় রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি এফ এস জামিল পাভেল এর সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক প্রবীর চৌধুরী রিপনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন জেলা সিপিবির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাজিদুল ইসলাম, অধ্যাপক আবু হানিফ,গোকর্ণ রোড ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ তারিক মাহমুদ তুহিন, কথা সাহিত্যিক ও লেখক আমির হোসেন, নোঙ্গর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সভাপতি শামীম আহমেদ, উদিচী শিল্পী গোষ্ঠীর জেলা সভপতি জহিরুল ইসলাম চৌধুরী স্বপন, সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস রহমান, কবি সাদমান সাদি, প্রিয় দৈনিক সংবাদ সারা বেলার জেলা প্রতিনিধি আবুল হাসনাত অপু, কবি মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ, রিপোর্টার্স ক্লাবের সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির,সাংগঠনিক সম্পাদক নাছির উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক সোহেল সরকার, প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আহাদ,সদস্য জাকির হোসেন জিকু প্রমুখ। এ সময় বক্তারা বলেন, সাংবাদিক ও লেখক রেজাউল করিম তিনি ছিলেন সৎ ও সাহসী সাংবাদিক। তিনি সবসময় মানুষের কল্যাণে লিখতেন। শুধু সাংবাদিকতা নয়, তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীদের জন্য লিখে গেছেন অমূল্য তিনটি বই। যে বইগুলো দিয়ে আগামী তরুণ সমাজের গবেষনা হিসেবে কাজে আসবে৷ রেজাউল করিমকে সর্বাদা বাঁচিয়ে রাখতে চাইলে উনাকে নিয়ে গবেষনা করা প্রয়োজন। উনার মত একজন গুনী মানুষকে নিয়ে গবেষনা না করতে পারলে তার লালন করা নীতিনৈতিকতা ও আদর্শকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব নয়৷ বক্তব্য শেষে মরহুম রেজাউল করিমের রুহের মাগফেরাত কামনা দোয়া পরিচালনা করেন মাওঃ গাজীউর রহমান৷ এর আগে আজ বৃহস্পতিবার সকালে সাংবাদিক ও লেখক মরহুম রেজাউল করিমের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে উনার নিজ বাসভবনে কোরআন খতম ও আত্মার মাগফেরাত কামনা দোয়া করানো হয়। সেখানে দোয়া পরিচারানা মাওঃ নূরুল্লাহ আল মাদানী। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন সাপ্তাহিক সাকিয়াত সংবাপত্রে কাজ করার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সর্বপ্রথম প্রকাশিত সংবাপত্র “সাপ্তাহিক তিতাস” এর মালিকানা লাভ করেন এবং প্রকাশক ও সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পালন করে যান সে দায়িত্ব। তার সুযোগ্য নেতৃত্ব, অসামান্য সাংগঠনিক দক্ষতা পত্রিকাকে দ্রুততম সময়ে পাঠকপ্রিয় করে তোলে। তার জীবদ্দশায় তিনি লিখে যান যাদের জন্মে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ধন্য, ভাষা আন্দোলনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, এবং কাজী নজরুল ইসলামকে গবেষণা করা বিদ্রোহী কবির মর্মকাহন নামের অমূল্য তিনটি বই।

[gs-fb-comments]
Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com